বিলুপ্তির পথে বাঙালির দুঃসময়ের সঙ্গী চিরচেনা রেডিও
বর্তমান এই কম্পিউটার–ল্যাপটপ–স্মার্টফোন–টিভির যুগে যেন হারিয়ে গেছে গ্রামগঞ্জের মানুষের দুঃসময়ের বার্তাবাহক বাঙালির চিরচেনা সেই রেডিও। বর্তমানে মুঠোফোন ও টিভির কারণে রেডিওর অনুষ্ঠান জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেছে। এখন আর তরুণ-তরুণীরা আগের মতো রেডিও শোনেন না। বর্তমান ডিজিটাল যুগে রেডিও নিয়ে সময় কাটান এক দোকান ব্যবসায়ী মো. তাইজউদ্দীন ইসলাম।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১০ নম্বর জামালপুর ইউনিয়নের ভাতারমারি রেলঘুন্টির পাশে তাইজউদ্দীন ইসলাম একটি ছোট্ট দোকানে সময় কাটাতে রেডিওকে সঙ্গী করে বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। রেডিওতে শুধু গান নয়, দেশ–বিদেশের খবরাখবর ও আবহাওয়ার বার্তা শুনাচ্ছেন ক্রেতাদের। ক্রেতারাও রেডিওতে খবরাখবর শুনতে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তাইজউদ্দীন বলেন, ‘ছোট থেকে দাদা–বাবার সঙ্গে রেডিওর খবর, গান ইত্যাদি অনুষ্ঠান শুনে বড় হয়েছি। কিন্তু এ ডিজিটাল যুগেও রেডিওর মায়া ছাড়তে পারিনি।’
এফএম রেডিওর নিয়মিত শ্রোতা ফজলুর করিম বলেন, ‘বর্তমান সময়ে অতি সহজেই মুঠোফোনের এফএমের মাধ্যমে আমরা রেডিওর অনুষ্ঠানগুলো শুনতে পাই। ফলে নতুন করে আর রেডিও ক্রয় করে খবর শোনার প্রয়োজন পড়ে না। ফলে দিন দিন আমাদের সেই ঐতিহ্যবাহী রেডিও হারিয়ে যেতে বসেছে।’
ছাত্রনেতা মো. কাউসার কবির সৌরভ বলেন, ‘রেডিওর গুরুত্ব এখনো কমে যায়নি। যাদের কাছে এটির গুরুত্ব থাকা প্রয়োজন, তাদের কাছে এখনো এর যথাযথ গুরুত্ব রয়েছে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, এই স্বাধীন বাংলার প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা রেডিওর মাধ্যমেই প্রচার হওয়ার কথা অনেক বয়স্ক মানুষের কাছে শুনেছি।’