ফল উৎসবে মেতেছেন হাবিপ্রবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের শিক্ষার্থীরা
ষড়্ঋতুর চক্রাকারে এখন গ্রীষ্মকাল। এ ঋতুর শেষ মাস জ্যৈষ্ঠ। এ মাসে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুসহ হরেক রকমের ফলের স্বাদে মেতে ওঠে বাঙালি। প্রকৃতির এই সময়কে উপভোগ করছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরাও।
গতকাল বুধবার বেলা তিনটায় ফল উৎসবে মেতে ওঠেন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আম, জাম, কাঁঠাল লিচুতে ভরপেট খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করে বিভাগটি। ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান মো. জুয়েল আহমেদ সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত বিভাগীয় এ ফল উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড হিউমেনিটিস অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন নওশের ওয়ান, সহকারী প্রক্টর ইয়াসিন প্রধান, এ টি এম রেজাউল হক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক হাসান জামিল, সহযোগী অধ্যাপক আবদুর রশিদ, সহযোগী অধ্যাপক আশরাফি বিনতে আকরাম, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহবুব চৌধুরী প্রমুখ।
ইয়াসিন প্রধান বলেন, ‘আমার ১৫ বছরের শিক্ষকতা জীবনে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিজেরা ফল উৎসব আয়োজন করেছে, এমন অভিজ্ঞতা বিরল। ঈদের আগেও প্রায় ৬০ জন অসচ্ছল শিশুকে “চাঁদের হাসি” কর্মসূচির মাধ্যমে ঈদের উপহার তুলে দেন এই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ডিপার্টমেন্ট তাত্ত্বিক পড়াশোনার পাশাপাশি এমন প্রোগ্রাম বাকিদের জন্যও অনুকরণীয়।
বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী তুষার চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের ৩টি ব্যাচের মধ্যকার আন্তসম্পর্ক বৃদ্ধিতে এ ধরনের প্রোগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত দেখা যায় এমন প্রোগ্রামে চাঁদা দিতে হয়, কিন্তু আমাদের বিভাগের আজকের ফল উৎসবসহ আমরা যেসব প্রোগ্রাম করেছি, আমাদের কোন চাঁদা দিতে হয়নি। আমি বিভাগের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞ এমন সুন্দর একটি প্রোগ্রাম আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।’
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মো. জুয়েল আহমেদ সরকার বলেন, ‘বাংলার ফল বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে বসে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছি। এ ছাড়া দেশের উন্নয়নে স্বকীয়তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আমার আশা, এ উৎসবের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা বাঙালি সংস্কৃতির প্রতিও আকৃষ্ট হবেন।’
লেখক: তানভির আহমেদ, শিক্ষার্থী, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর