এ কেমন ছাত্ররাজনীতি
স্বাধীনতা–উত্তর বাংলাদেশের আপামর জনতার নিকট সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক দল দুটি। যারা একাধিকবার ক্ষমতায় এসেছে। তবে দুঃখের বিষয় হলো, দল দুটির মধ্যে আজ পর্যন্ত প্রতিহিংসার রাজনীতি বিরাজমান। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়মিত চলছে ওই দুটি রাজনৈতিক দলের ছাত্রনেতাদের একপক্ষ আরেকপক্ষকে প্রতিহত করা। কী ভয়াবহ তাদের মারামারি।
প্রশ্ন হলো, এই যদি হয় ছাত্ররাজনীতির অবস্থা তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কী শিখবে তাদের থেকে? এই রাজনীতিতে আসবে কোনো মেধাবী তরুণ? নাকি রাজনীতি বিমুখ হবে তাদের এমন কার্যকলাপ দেখে?
আর যা–ই হোক, রাজনীতির মাঠ আরও সুন্দর, সাবলীল ও গণতান্ত্রিক হওয়া জরুরি। এভাবে একটা দেশের রাজনীতি চলতে পারে না। এটাকে ছাত্ররাজনীতি বলে না। ছাত্ররাজনীতিতে থাকবে রাজনীতির সহাবস্থান। ছাত্ররাজনীতি হবে অন্যান্য রাজনীতির জন্য রোলমডেল। তারাই পরবর্তী সময়ে নেতৃত্ব কাঁধে নিবে এবং দেশ পরিচালনা করবে। অথচ এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলো একপক্ষ আরেকপক্ষকে সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করে।
আগামী বছর জাতীয় নির্বাচন। সরকারের উচিত সঠিক ও সুন্দর উপায়ে একটা নির্বাচন উপহার দেওয়া। এসব হানাহানি, মারামারি বন্ধ করে ক্যাম্পাসগুলোয় সুন্দর পরিবেশ বিরাজমান করা জরুরি এবং এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়া। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এভাবে নিয়মিত দেশি অস্ত্র নিয়ে মারামারি হচ্ছে কিন্তু তারা নির্বিকার। তাদের এ বিষয়ে নেই কোনো তদারকি, নেই সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য। সুতরাং ক্যাম্পাসগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।
*লেখক: মো. সায়েদ আফ্রিদী, শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ