উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যাতায়াতব্যবস্থা কবে ভালো হবে

ট্রেনফাইল ছবি

উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ দুটি মানচিত্রের দুই মেরু। এই দুই মেরুর বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস করে কোটি কোটি মানুষ। জীবনযাপনের চাহিদার তাগিদে প্রত্যেক ব্যক্তিকেই এ মাথা থেকে ও মাথা যাতায়াত করতে হয়। এ ক্ষেত্রে একটি ব্যক্তিকে অনেক কিছু উপেক্ষা করে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। যোগাযোগব্যবস্থা যদি ভালো না হয়, এ ক্ষেত্রে হাজারও সমস্যা তৈরি হয়। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাতায়াতব্যবস্থা যেন এক দুর্বিষহ ব্যাপার।

এই যাতায়াতের হয়রানিতে পড়ে বিভিন্ন চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা। স্বল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর চাহিদা থাকে। এ সময় দেখা যায় কয়েক শ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয় ভেঙে ভেঙে, নাহয় নিজস্ব কোনো উপায়ে। ট্রেন কিংবা বাসের সরবরাহ যথেষ্ট নয়।

এ সমস্যা নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আতিয়া বুশরা ইশা বলেন, আমি নারী শিক্ষার্থী। যাতায়াতব্যবস্থা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমার বাড়ি ঠাকুরগাঁও।

এ ক্ষেত্রে আমার গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য প্রথমে ট্রেনে বা বাসে করে অন্য কোনো জেলার স্টেশনে যেতে হয়, এরপর আমি খুলনাগামী রূপসা বা সীমান্ত এক্সপ্রেসে উঠি। এই ট্রেন সার্ভিসও যথেষ্ট নয়। আবার মাঝেমধ্যে ট্রেন নিয়ে বিভিন্ন ঝামেলায় পড়তে হয়। আমাদের এদিকে বাস সার্ভিসের ব্যবস্থাও নেই বললেই চলে। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হই যাতায়াতব্যবস্থার জন্য।

এ নিয়ে দক্ষিণবঙ্গের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শফিউজ্জামান শিহাব বলেন, আমার বাসা উত্তরবঙ্গে আর আমি অধ্যয়ন করছি সর্বোচ্চ দক্ষিণে। আমার যাতায়াতব্যবস্থা নিয়ে নাই–বা বললাম, না আছে সরাসরি ট্রেনের ব্যবস্থা না আছে পুরোপুরি বাস সার্ভিস। এ জন্য অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে চলতে হয়। অনেক সময় যানবাহনের সরবরাহ না থাকায় যথাসময়ে গন্তব্যে যেতেও পারি না।

*লেখক: মালিহা চৌধুরী, শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

*নাগরিক সংবাদে ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]