আতঙ্কের আরেক নাম রাজধানীর আসাদগেট
জনবহুল শহর রাজধানী ঢাকা। যে যার মতো ছুটছে আর ছুটছে। পেছনে ফেরার সময়-সুযোগ, কোনোটাই থাকে না ব্যস্ত নগরীর এ নাগরিকদের। যানজটে বসে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। যেহেতু নাগরিকদের বৃহৎ একটা অংশের চলাচলের অন্যতম মাধ্যম লোকাল বাস, তাই এখানে নিয়মিত বিভিন্ন দুর্ঘটনাও বেশি ঘটে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ছিনতাই। বিভিন্ন সময় ছিনতাইকারী চক্র যাত্রীদের নানা কিছু নিয়ে যায় হ্যাঁচকা টান দিয়ে বা বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে। তেমনই এক জায়গা মোহাম্মদপুরের আসাদগেট। অথচ এর এক পাশজুড়ে সংসদ ভবন এবং অন্য পাশে মোহাম্মদপুরের নামকরা সরকারি–বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
দুঃখজনক বিষয় হলো, এত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য এবং চারপাশে এত নিরাপত্তাকর্মী থাকা সত্ত্বেও এখানে প্রতিনিয়ত চলে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। যেমনটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখলাম। কতটা ভয়াবহ ও বিপজ্জনকভাবে এই চক্র সাধারণ মানুষের ওপর চড়াও হয়ে আক্রমণ করতে চেয়েছে এবং করছে প্রতিনিয়ত, তা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতেও দেখা যায়।
এমন সমস্যাগুলো বারবার ঘটার পেছনের অন্যতম কারণ প্রশাসনের অবহেলা। যেহেতু এসব চক্র একতাবদ্ধ হয়ে তাদের কর্মকাণ্ড সম্পাদন করে, তাই ওদের দু–একজনকে আইনের আওতায় আনলে থলের সব খবর বের করে আনা সম্ভব। এসব ছিনতাইকারী চক্রের উৎখাতের কোনো বিকল্প নেই। এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর ও শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশের একতাবদ্ধ হয়ে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
সুতরাং, মোহাম্মদপুরের আসাদগেটসহ আশপাশের এলাকা ছিনতাইকারীমুক্ত করা এখন সময়ের দাবি।
এ নিয়ে প্রশাসনের উচিত অতি দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া।
লেখক: মো. সায়েদ আফ্রিদী, শিক্ষার্থী, চতুর্থ বর্ষ, ঢাকা কলেজ