হাবিপ্রবির উদ্ভাবনী ধারণা জমাদান বাক্স, রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ ভবনের চতুর্থ তলার বিজ্ঞান অনুষদের বারান্দায় হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ চোখে পড়ল এক শিক্ষার্থী কিছু লিখে দেয়ালে আটকানো কাঠের বাক্সে রাখলেন। বাক্সের গায়ে লেখা ‘উদ্ভাবনী ধারণা জমাদান বক্স’।

পরিচয় নেওয়ার পর বিজ্ঞান অনুষদের ওই শিক্ষার্থী জানান, নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তিপ্রক্রিয়া, এনরোলমেন্ট, চিকিৎসা–সেবা, সেশন জটের মতো জটিল ও সময়সাপেক্ষ বিষয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

সেই সব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে স্থাপন করা হয়েছে ধারণা জমাদান বাক্স। তাই উদ্ভাবনী ধারণা কাগজে লিখে জমা দেওয়া হচ্ছে কাঠের তৈরি বাক্সে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ ধরনের বাক্স স্থাপন করে চাওয়া হচ্ছে উদ্ভাবনী ধারণা। উদ্দেশ্য সেবা সহজকরণ ও ডিজিটালাইজেশন বাস্তবায়ন। সেই লক্ষ্যে শিক্ষক–শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিকট থেকে নতুন নতুন ধারণা সংগ্রহের নিমিত্তে স্থাপন করা হয়েছে উদ্ভাবনী ধারণা জমাদান বাক্স।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ডিন অফিস, আবাসিক হল, প্রশাসনিক ভবন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, টিএসসিসহ মোট ২০টি স্থানে দেখা মিলছে হাবিপ্রবির ইনোভেশন টিমের এ বাক্সের। প্রতি এক মাস অন্তর খোলা হবে এ বাক্স।

ইউজিসির নির্দেশনায় জাতীয় শুদ্ধাচার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হাবিপ্রবির আই.আর.টি–এর পরিচালক অধ্যাপক এস এম হারুন-উর-রশীদকে আহ্বায়ক করে আট সদস্যের একটি ইনোভেশন টিমের নতুন কমিটি এ বছর জানুয়ারি থেকে কার্যকর রয়েছে।

এস এম হারুন-উর-রশীদ জানান, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উদ্ভাবনী ধারণা জমাদান বাক্স গুরুত্ব বহন করছে। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি নতুন নতুন ধারণা কাজে লাগিয়ে যেকোনো জটিল ও সময়সাপেক্ষ কাজ দ্রুত করা সম্ভব।

কাজের গতিশীলতা, উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সবার মধ্যে সেবা দ্রুত ও সহজকরণের পন্থা উদ্ভাবন ও চর্চার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার গঠন করে ইনোভেশন টিম। উদ্ভাবনী ধারণা ও সৃজনশীলতাকে প্রতিটি পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এ কার্যক্রম।