সাইটসেভার্সের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন
সাইটসেভার্স সংস্থাটি নিরাময়যোগ্য অন্ধত্ব প্রতিরোধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার নিশ্চিত করতে ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশে কাজ করছে। ২ আগস্ট রাজধানীর একটি হোটেলে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে সংস্থাটির সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করা হয়।
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর থেকে সাইটসেভার্স সরকার, স্থানীয় সংগঠন ও স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করছে। মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তনে অবদান রাখছে সংস্থাটি। সাইটসেভার্সের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মধ্যে রয়েছে ২০ লাখের বেশি ছানি অপারেশন, প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ চক্ষু পরীক্ষা, ২ কোটি চোখের বিভিন্ন চিকিৎসাসেবা প্রদান এবং প্রায় ১০ হাজারের বেশি প্রতিবন্ধী শিশু ও ব্যক্তিকে শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ।
সাইটসেভার্সের সুদীর্ঘ পদচারণে নিরাময়যোগ্য অন্ধত্বের অবসান, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার নিশ্চিতকরণ ও একটি একীভূত সমাজ গড়ে তোলায় সাইটসেভার্সর অবদান এবং সর্বোপরি সংগঠনটির ভবিষ্যৎ অঙ্গীকার তুলে ধরার মাধ্যমে দিবসটি উদ্যাপন করেছে।
বাংলাদেশে সাইটসেভার্সের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীসহ বিভিন্ন খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাইটসেভার্সের প্রধান নির্বাহী ক্যারোলাইন হারপার।
ক্যারোলাইন বলেন, ‘গত পাঁচ দশকের অর্জনে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। আমরা মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছি। আমরা এই পরিবর্তনকে দীর্ঘস্থায়ী করতে আমাদের পদচারণ অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।’
সাইটসেভার্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অমৃতা রেজিনা রোজারিও বলেন, একীভূত ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের স্বপ্ন নিয়ে সাইটসেভার্সের এই উদ্যাপন। সাইটসেভার্স জাতিসংঘের টেকসই লক্ষ্যমাত্রার মূলমন্ত্র ‘কাউকে পেছনে ফেলে নয়’ বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ।