জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সবুজ আঙিনায় শীতের পদধ্বনি
গুটি গুটি পায়ে সন্তর্পণে এগিয়ে আসছে কুয়াশার চাদরে মোড়ানো বেগম সুফিয়া কামালের ‘মাঘের সন্ন্যাসী’ শীতকাল। কাকডাকা ভোরে নতুন আবাসিক হলের ১০তলা থেকে বা চৌরঙ্গীর বেঞ্চিতে বসে লেকের ওপর যে ঘন কুয়াশা দেখা যায়, সেই কুয়াশাই যেন শীতের বার্তা নিয়ে অপেক্ষা করে থাকে প্রতিদিন। গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা আর সূর্যমুখীর অপেক্ষা এবার শেষ হওয়ার পালা। তাদের ছোট্ট বীজ থেকে চারা হয়ে সেই গাছ যখন বড় হবে, তার কলি থেকে ফুল ফুটবে, সেই ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে যাবে শীতের সকালের কুয়াশার আস্তরণ ভেদ করে। জাবি ক্যাম্পাসের অলিগলিতে বসবে চিতই পিঠার দোকান, হরেক রকমের মুখরোচক ভর্তা দিয়ে ঠান্ডায় দাঁড়িয়ে সেই পিঠা খাওয়াই এই শীতের আমেজ বাড়িয়ে দেবে কয়েক গুণ।
প্রকৃতিতে শীতকে বরণ করে নিতে কত তোড়জোড়, অতিথি পাখি হয়তো রওনা হয়ে গেছে ঝাঁকে ঝাঁকে জাবির লেকে কিছুকাল ঘর বাঁধার জন্য। লন্ডন ব্রিজ থেকে অতিথি পাখির কলকাকলি শোনার অপেক্ষায় প্রহর গোনা এবার বোধ হয় শেষ হবে। তারই প্রতীক্ষা করে চৌরঙ্গীর পাতাঝরা গাছগুলো যেন পাতা ঝরানো শুরু করে দিয়েছে এখনই। রাতের শেষে হালকা হিমেল হাওয়া আর সকালে কয়েক ফোঁটা শিশিরবিন্দু দূত হয়ে শীতের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে জাহাঙ্গীরনগরের সবুজ আঙিনায়। প্রকৃতির আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই তো শীত এল বলে...
লেখক: আমিনা বুশরা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়