একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা একই দিনে বা একই সময়ে হয়, এর সমাধান কি হবে না
অধিকাংশ চাকরির পরীক্ষা হয় শুক্রবার ও শনিবারে। আবার লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে একজন পরীক্ষার্থীর একাধিক পরীক্ষা একই দিনে বা একই সময়ে হয়। এতে একজন পরীক্ষার্থীর সময়, টাকা এবং সুযোগ নষ্ট হয়। একাধিক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারনে এই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এর সমাধান এখন সময়ের দাবি মাত্র।
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি খুব সুন্দরভাবে ব্যাংকের পরীক্ষাগুলোকে একটি প্লাটফর্মের মধ্যে এনেছে, এক প্লাটফর্মে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার তারিখসহ সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে গোছানোভাবে। অন্যদিকে বিপিএসসি ও তাদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিসহ সকল কার্যক্রম এক ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করে। অথচ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের পরীক্ষাগুলো সমন্বয়হীনতার কারনে একজন পরীক্ষার্থীর একাধিক পরীক্ষা একই দিনে বা একই সময়ে হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উচিত এর একটি সমাধান বের করা, এতে হাজারো শিক্ষার্থীর উপকারে আসবে, নিয়োগ প্রক্রিয়া একটি সিস্টেমের মধ্যে চলবে। এছাড়াও নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত আরো কিছু অসংগতি লক্ষ্য করা যায়, যার সমাধানও জরুরি। যেমন:
১.
গ্রেড অনুযায়ী আবেদনের ফি নির্ধারণ করা, (কিছু কিছু নিয়োগ বিজ্ঞপিতে মাত্রাতিক্ত ফি লক্ষ করা যায় যা একজন বেকারের জন্য বোঝা)।
২.
সকল মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, অ্যাডমিট কার্ড , ফলাফল এক প্লাটফর্মে আনা।
৩.
প্রক্সি পরীক্ষা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন করা , প্রয়োজনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি এপ্লাই করা যেতে পারে।
৪.
প্রতিটি পরীক্ষার রুমে ঘড়ির ব্যবস্থা করা। পরীক্ষার রুমে হাজিরা বায়োমেট্রিক পদ্ধতি এপ্লাই করা ।
৫.
আসন বিন্যাস ও রেজাল্ট পিডিএফে না দিয়ে ওয়েবসাইটে ডাটাবেজে সার্চ এর মাধ্যমে আধুনিকরন করা।
৬.
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার রেজাল্ট ৩ দিনের মধ্যে নিশ্চিত করা। ও লিখিত পরীক্ষার রেজাল্ট সংখ্যা অনুসারে সর্বোচ্চ ১৫-৩০ দিনের মধ্যে নিশ্চিত করা।
৭.
নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত ও আধুনিকরন করা।
৮.
পুলিশ ভেরিফিকেশনে হয়রানি ও ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ করা। একজন শিখার্থী যদি চাকরির শুরুটা করে ঘুষ দিয়ে তাহলে এর একটা প্রভাব সারা জীবন থেকে যায়।
৯.
সকল আবেদনের পেমেন্ট সিস্টেম অনলাইন করা ও আবেদন ফরম শতভাগ অনলাইন করা।
১০.
শুন্য পদগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত নিয়ো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা গেলে বেকারত্ব অনেক কমে যাবে।
এসব সমস্যার সমাধান হলে দেশে নিয়োগ প্রক্রিয়ার এক ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। সাধারণ শিক্ষার্থীর উপকারে আসবে । পুরো নিয়োগ সিস্টেম আধুনিকরন সহ এর সুফল পাবে হাজারো সাধারণ শিক্ষার্থী।
আব্দুস সাত্তার, লেখক ও প্রযুক্তিবিদ