ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশুদের এক হাতে নতুন টাকা, অন্য হাতে চকলেট
‘ভাইয়ারা অনেক ভালো। আমাগের ডাইকি নিয়ে চকাই নোট (চকচকে নোট) আর চকলেট দেল। নতুন টাকা পাইয়ি ম্যালা ভালো ঠ্যাকছে। ঈদের সময় অনেকেই সালামি দেয়, নতুন টাকা দেয় না।’রোটার্যাক্ট ক্লাব অব ইসলামিক ইউনিভার্সিটির ঈদ সালামি হিসেবে নতুন টাকা ও উপহার পেয়ে এভাবেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছিল শিশুরা। উচ্ছ্বসিত অভিভাবকেরাও। গত বুধবার বিকেলে ক্যাম্পাস–সংলগ্ন সরদারপাড়া গ্রামে শেখাপাড়া ও শান্তিডাঙ্গা এলাকার দরিদ্র পরিবারের অন্তত ৬০ জন শিশুকে নিয়ে এ আয়োজন করে সংগঠনটি।
খাইরুন নাহার নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ছেইলেরা খুব ভালো উদ্যোগ নেল। আমাগের বাচ্চারা খুবই খুশি। তাগের হাসিমুখ দেইখে আমরাও ম্যালা খুশি হইছি। আল্লাহ তাগের ভালো করুক।’
শিশুরা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাম ফর রোড চাইল্ড (সিআরসি) বিশ্ববিদ্যালয় শাখা পরিচালিত অবৈতনিক স্কুলের বিভিন্ন পর্যায়ে অধ্যয়ন করছে। উপহার পেয়ে আনন্দিত বেশ কয়েকজন শিশু জানায়, এটি ওদের পাওয়া প্রথম ঈদ সালামি। অন্য কয়েকজন জানায়, ঈদে পরিবারের সদস্যরা সালামি দিলেও এভাবে নতুন টাকার নোট পায়নি।
সংগঠনটির সভাপতি মুনজুরুল ইসলাম নাহিদের নেতৃত্বে সেক্রেটারি দিদারুল ইসলাম রাসেল ও ক্লাব সার্ভিস ডিরেক্টর রাশেদুল ইসলামসহ ক্লাবের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অতিথি হিসেবে ছিলেন রোভার স্কাউট বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট কাউন্সিলের সভাপতি মুসা হাসেমী।
রোটার্যাক্ট ক্লাব অব ইসলামিক ইউনিভার্সিটির সভাপতি মুনজুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘ক্যাম্পাস–সংলগ্ন এলাকার ছিন্নমূল পরিবারের শিশুদের মধ্যে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই আমাদের এ কার্যক্রম। ঈদ সালামি শিশুদের ঈদ আনন্দ অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। সেই চিন্তা থেকেই আমরা এ উদ্যোগ নিই। এসব শিশুশিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের চোখেমুখে যে খুশির ঝিলিক দেখেছি, এটি আমাদের প্রচেষ্টার তুলনায় অনেক বড় প্রাপ্তি।
*লেখক: শিক্ষার্থী, আজাহারুল ইসলাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
**নাগরিক সংবাদে ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল অ্যাড্রেস [email protected]