শুক্রবারে কেন ছাত্রছাত্রীদের হাফ ভাড়া নয়
জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়। আর ভাড়া বাড়ানো নিয়ে নানা সমস্যাও আছে। তেলের দাম যদি বাড়ে ১০ গুণ, ভাড়া বাড়ে ২০ গুণ। সেই সঙ্গে নানা ছুতায় আন্দোলনের নামে গণপরিবহনসংশ্লিষ্টরা দেশবাসীকে জিম্মি করে রাখে। ধরতে গেলে একপ্রকার সরকারও জিম্মি তাদের কাছে। সরকার হয়তো জনগণের কথা ভেবেই তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। দুঃখজনক বিষয় হলেও সত্য, পরিবহন শ্রমিকনেতারা সরকারেরই একটা অংশ।
যাই হোক, মূল কথায় আসি। কিছু আগে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সময়ে মালিকপক্ষ ও সরকারপক্ষ আলোচনায় বসে। এ সময়ে ছাত্রছাত্রীদের হাফ পাস নেই বলে জানায় মালিকপক্ষ। অতঃপর অনেক ছাত্রছাত্রীর আন্দোলনের মুখে সরকারের অনুরোধের পর হাফ পাস কার্যকর হয়। তবে তা করা হয় সপ্তাহে ৬ দিন। তা ছাড়া শিক্ষার্থী ভাড়া দিতে গেলে হতে হয় হয়রানির স্বীকার, সেই সঙ্গে বাসচালকের সহকারীদের অশোভন আচার-আচরণ তো আছেই। শুক্রবারে হাফ ভাড়া দেওয়ার সুযোগ নাই। এটা কেমন কথা? শুক্রবারে স্কুল–কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও কি ছাত্রছাত্রীদের অন্য কোনো কাজ থাকে না? পড়তে ওই দিন শিক্ষার্থীরা কোথাও যায় না, বা যেতে পারে না?
দেশটা আজ অনেকাংশেই মগের মুল্লুক হয়ে গেছে। তারা (বাসসংশ্লিষ্টরা) যা বলবে তা–ই। অথচ শুক্রবারে অসংখ্য চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যাতায়াত করেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তাই এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার।
আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা। ধরুন আপনি সাভারের থানা বাসস্ট্যান্ড থেকে সাভার বাসস্ট্যান্ড যাবেন। এ পথের দুরত্ব আধা কিলোমিটার। সেক্ষেত্রে আপনি কোন হিসাবে ভাড়া ১০ টাকা দেবেন? এগুলো আসলে দেখার কেউ নেই।
এ জন্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের প্রতি আকুল আবেদন, ছাত্রছাত্রীদের উক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে শুক্রবারেও হাফ ভাড়া কার্যক্রর করা হোক। আর শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা করুন।
লেখক: মুশফিকুর রহিম স্বপন, শিক্ষার্থী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ