লড়াই
নাগরিক সংবাদ-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]
বাচ্চারা যে কত ঝামেলায় ফেলতে পারে তা অবিশ্বাস্য! আর এমন এমন কথা বলবে যে হাসতে হাসতে পেটব্যথা হওয়ার দশা। কিছু কথায় ফেলবে চরম লজ্জা আর অসুবিধায়। ঝিমু আবার এ কাজে বেশ দক্ষ। একমাত্র সন্তান হওয়ায় বাবা পড়ছেন আরও বিপদে। মেয়েকে একটু মারলে মেয়ের সাথে মেয়ের মায়ের চোখেও জল আসে!
মা এত বোঝান কামড় দেওয়া ভালো না, ভালো মেয়েরা কামড় দেয় না। আর কামড় দেবে?
ঝিমু মাথা নেড়ে বলে আর কামড় দেবে না।
কিন্তু শিশুরা কথা রাখে না! সুযোগমতো বাবার হাতে নয়তো কানে বসিয়ে দেয় কামড়।
আর কথা বলবে উল্টাপাল্টা। সোজা উত্তর দেওয়ার পিচ্চি ঝিমু না!
আজ সকালের কথা বলি। রান্নাবাটি খেলছিল বারান্দায়। বাবা মেয়ের সাথে ভাব জমানোর জন্য বসে গেলেন। ঝিমু তো মহাখুশি!
বাবা বলেন, কী রান্না করবে মা?
ঝিমু বলে তোমার মাথা! খাবে বাবা?
বাবা মুখ হাঁড়ির মতো করে চলে যান স্ত্রীর কাছে। ঝিমুর মা সব শুনে বলেন, এই মেয়েকে নিয়ে কী যে করি!
বাবা বলেন, তোমার কাছে শিখছে এই সব। আমি যদি বলি, ‘কী রান্না করবে আজ, তুমি ঝিমুর সামনে বলো আমার মাথা! কার কাছে শেখে এসব।’
এক কথা, দুই কথায় বেধে যায় কথার লড়াই। লড়াইয়ের মাঝে ঝিমু হাজির হয়। তার রান্না হয়ে গেছে। মা বলেন, ‘আমার ঝিমু পোনা কী রান্না করছে আজ?’ আদর করে মা ঝিমুকে ঝিমু পোনা ডাকেন প্রায়ই।
ঝিমু বলে ‘ভাত, মাছ ও মাংস।’
মা আদর করে দেন। বাবাকে বলেন, ‘দেখছ। আমাকে ঠিক ঠিক বলেছে। যে যেমন বাচ্চারা তাকে তেমন উত্তর দেয়।’
এই কথায় আবার কথার লড়াই শুরু হয় বাবা–মায়ের। কিন্তু ঝিমু তার নাকের সর্দি বাবার শার্ট দিয়ে মোছায় লড়াই ভেস্তে যায়। পচা কাজ। কিন্তু মাঝেমধ্যে পচা কাজও ভালো ফল বয়ে আনে!
*ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম থেকে