সকালে ঘুম থেকে ওঠা এত কষ্ট কেন?

সময় গণনার জন্য উদ্ভাবন করা হয় পেন্ডুলাম ঘড়ি, কোয়ার্টজ ঘড়ি ইত্যাদিছবি: এআই আর্ট

সকাল ৬টা বাজে—ঘড়ির অ্যালার্ম কেঁদে কেঁদে বলে, ‘ওঠো, দিন শুরু করো।’ আর আমি মনে মনে বলি, ‘আরও ৫ মিনিট...’ এরপর সেই ৫ মিনিট এমন জাদুর মতো ১ ঘণ্টায় রূপ নেয়। চোখ খুলে দেখি ক্লাস বা অফিসের সময় পেরিয়ে গেছে—প্যানিক মোড অন...

প্রশ্ন হচ্ছে, সকালবেলায় উঠতে এত কষ্ট হয় কেন?

আমরা রাতে নেটফ্লিক্স দেখি, ফোন স্ক্রল করি, ‘শেষ রিল’ (last reel) বলে হাজারটা রিল দেখি—এসব করতে করতে ঘুম আসে রাত দুইটা বা তারও পরে। তখন আবার সকাল ছয়টার অ্যালার্ম!

‘দূর পরবাস’-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]

আর মজার ব্যাপার হচ্ছে, যখন ছুটির দিন, তখন অটোঘড়ি শরীরে কাজ করে না। ঘুম দিয়ে দেয় বেলা ১০–১১টা পর্যন্ত। কিন্তু যেইমাত্র ক্লাস বা কাজে যেতে হবে, ঘড়ির কাঁটা যেন আমাদের সঙ্গে শত্রুতা করে!

আসলে আমাদের ঘুমের রুটিন, মানসিক চাপ আর দুশ্চিন্তাগুলো মিলেই এমন হয়। শরীর আর মস্তিষ্ক আরামে না থাকলে, সকালে উঠে সতেজ অনুভব হয় না।

তা ছাড়া আমরা ঘুমকে গুরুত্বের সঙ্গে নিই না। ঘুম তো একটা দরকারি ব্যাপার। সেটাকে আমরা মনে করি শিশুর মতো, ‘না ঘুমালে কিছু মিস করব না তো?’

এর উত্তর কী?
না ভাই, জাদুকরি সমাধান নাই। তবে কিছু জিনিস কাজ করে—
• রাতে অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুম
• ঘুমানোর আগে স্ক্রিন অফ করা (হ্যাঁ, ফোনও!)
• সকালে উঠেই আলোর সামনে যাওয়া বা পানি খাওয়া

সব শেষে বলতে হয়, ঘুম থেকে ওঠা কষ্ট হতেই পারে, কিন্তু একবার উঠতে পারলে, দিনটা অন্য রকম হয়। ওই বিছানার যুদ্ধ জয় করতে পারলে মনে হয়, জীবনের সব কিছু পারব।

লেখক: শিক্ষার্থী মো. ইমাম হোসেন জিদান, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী