টেকনাফে একটি ভাষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন করা হোক

টেকনাফ বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের উপজেলা। যার আয়তন ৩৮৮.৬৮ বর্গকিলোমিটার। প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় কক্সবাজারের এই উপজেলায় এখনো শিক্ষার হার ২৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। এখনো টেকনাফ উপজেলায় অনার্স কোর্সে পড়ার সুযোগ নেই। যার কারণে প্রতিবছর টেকনাফের শিক্ষার্থীদের দূরদূরান্তে গিয়ে অনার্স কোর্সে পড়তে হয়। বিভাগীয় ও জেলা শহর থেকে দূরে হওয়ায় টেকনাফে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা একেবারে নেই বললেই চলে। কারণ, এখানে নেই কোনো প্রকার শিল্পকারখানা, নেই কোনো উৎপাদনকেন্দ্র।

অপর দিকে বিভিন্ন কারণে নাফ নদীতে মাছ ধরাও তেমন নেই। টেকনাফ স্থলবন্দরও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট দিয়ে মিয়ানমার থেকে পশু আমদানিও বন্ধ।

প্রতিবছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাসের পর কর্মসংস্থানের কোনো সুযোগ না থাকায় এখানকার তরুণেরা বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাচ্ছেন, যা তাঁদের ভবিষ্যতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

প্রতিবছর টেকনাফের হাজারের অধিক শিক্ষিত বেকারদের দেশে–বিদেশে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বা ডোনারের উদ্যোগে হোস্টেল–সুবিধাসহ টেকনাফে একটি ‘ভাষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র’ স্থাপন করা প্রয়োজন বলে মনে করি। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের ভাষা, যেমন ইংরেজি, জাপানিজ, চায়নিজ, কোরিয়ান, আরবি ভাষা এবং কম্পিউটার ও ফ্রিল্যান্সিং, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, মেকানিক্যাল, সিভিল কনস্ট্রাকশন ইত্যাদিসহ বিদেশের উপযোগী ট্রেডগুলো শেখানো যেতে পারে।

নাগরিক সংবাদে জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই–মেইল: [email protected]

এতে টেকনাফ উপজেলার পাশাপাশি সমগ্র দেশের বিভিন্ন জেলা–উপজেলা থেকে আসা তরুণেরাও প্রশিক্ষণ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে সফলতার সঙ্গে কাজ করে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারবেন।

টেকনাফ উপজেলার বিপুলসংখ্যক বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে স্থায়ীভাবে টেকনাফ উপজেলায় একটি ‘ভাষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র’ স্থাপনের জন্য কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর–সংশ্লিষ্ট সবার যথাসম্ভব দ্রুত সহযোগিতা একান্ত কাম্য।

*লেখক: মাহবুব নেওয়াজ মুন্না, উন্নয়ন পেশাজীবী