ঘর
নাগরিক সংবাদ-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]
বাদুড়ের মতো বাসে ঝুলে ঝুলে বাবা ঘরে ফিরলেন। পথের সব কষ্ট ঘরে এসে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। যখন ঝিমু ছিল না তখন কষ্ট দূর করতেন একজন। ঝিমু আসার পর কষ্ট দূর করার মাধ্যম বেড়ে গেল। বাচ্চারা কষ্ট বিনাশক। কষ্ট বিনাশ করার পদ্ধতিও আলাদা তাদের।
কষ্ট দিয়ে কষ্ট সারায় তারা। কী চমৎকার প্যারাডক্স।
পুলিশও এত আয়োজন করে পকেট খোঁজে না, যতটা ঝিমু বাবার পকেটে চিরুনি অভিযান চালায়। এ অভিযান মা চাইলেও থামাতে পারেন না। ঝিমু বাদুড়ের মতো বাবার সঙ্গে ঝুলেই থাকে। কিছু একটা তার চাই। একটা আমলকী হলেও চলে। যেদিন কিছু আনেন না বাবা সেদিন বাবার মাথার কিছু চুল ঝরে যায়। পিতৃস্নেহের কাছে ঝিমুর সব যন্ত্রণা মাফ হয়ে যায়।
এমন আবদার করে যন্ত্রণা দেওয়ার অধিকার আর কার আছে ধরায়? এ যন্ত্রণা না থাকলে কি ঘরের মায়া থাকবে? ঘরের মায়া না থাকলে এ ধরা নরক হতে কতক্ষণ লাগে!
মা শরবত আনলে ঝিমু ভাগ বসায়। এ ভাগে বেড়ে যায় মমতার বিস্তৃতি। তারপর কখন যে এ ছোট্ট রাজকন্যা ঘুমের দেশে হারিয়ে যায়, বাবা টের পান না। ঘুমালে তাকে আদর করায় মায়ের কঠোর নিষেধাজ্ঞা। অথচ বাবা জানেন ছোট্ট রাজকন্যাকে সবচেয়ে সুন্দর লাগে যখন সে ঘুমিয়ে থাকে। তখন তার কপালে একটা চুমো দিলে, তার নরম কচি আঙুলে একটু আদর করলে কী ক্ষতি হয়! মায়েরা এত কঠিন নিষেধাজ্ঞা কেন দেন, তা বাবারা জানেন না। মানতে চান না।
* ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম থেকে