জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মনে প্রশ্ন, কবে ক্যাম্পাসে ক্লাস

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অনেকের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় আর জাবি-৫২ ব্যাচ এ স্বপ্নের অর্জনকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এ স্বপ্ন আজ দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। কারণ, যেখানে অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনাল হয়ে গেছে, সেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অফলাইন ক্লাস এখনো শুরুই হয়নি। অনলাইন ক্লাস যা হচ্ছে, তা নিছক আয়োজন ছাড়া অন্য কিছু নয়। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই এ অনলাইন ক্লাস নিয়ে অসন্তুষ্ট। এই ভোগান্তির শেষ কবে, তা সবাই জানতে ইচ্ছুক।

তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্বিকার, তাদের কোনো কথা নেই। ক্লাস অনলাইনেও সঠিক সময়ে হচ্ছে না, একটা ক্লাস হলে অন্যটা হচ্ছে না। এভাবে শিক্ষার্থীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা। সঠিক ইন্টারনেট কানেকশনের অভাবে গ্রামের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যোগ দিতে পারছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আগেই শিক্ষার্থীরা সেশনজটে আটকে পড়েছেন। এ অনলাইন ক্লাসের শেষ কবে, সে সম্পর্কে শিক্ষকেরা জানেন না।

সুদূর ভবিষ্যতে কী হবে, তারও কোনো চিহ্ন পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বইগুলো পড়ানো হয়, তা ঢাকার বাইরে পাওয়া যায় না। যাঁরা ঢাকার বাইরে থাকেন, তাঁরা বই কিনতেও ভোগান্তির শিকার হন। এত বড় ভর্তি প্রতিযোগিতার পর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও যদি শিক্ষার্থীরা তাঁদের শিক্ষা অর্জনেই ব্যর্থ হন, তাহলে তাঁদের এই প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে কী লাভ হলো। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ ব্যাচের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পর্যন্ত জানানো হয়েছে। কিন্তু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৫২ ব্যাচ সম্পর্কে কোনো আপডেট তথ্য নেই।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আসলে ছয় থেকে সাত মাসে কেন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিতে পারল না, তা নিশ্চয়ই নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়। আমাদের শিক্ষার্থীদের মনে প্রশ্ন, কবে অফলাইন, মানে সরাসরি ক্যাম্পাসে ক্লাস করতে পারবেন তাঁরা।

  • লেখক: শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়