পরিবেশ নোংরা করতে আমরা এগিয়ে

রাজধানী ঢাকা প্রতিটি জেলা–উপজেলা শহরের চেয়ে সব সময় জনবহুল থাকে। মানুষের যত বেশি বসবাস কোনো নির্দিষ্ট স্থানে, সেখানে দূষণের পরিমাণ ততই বেশি। মানবসৃষ্ট দূষণের মধ্যে আছে বিভিন্ন উচ্ছিষ্টের ময়লা–আবর্জনা, কলকারখানার নির্গত ধোঁয়া, যানবাহনে অতিরিক্ত শব্দ ইত্যাদি। আমরা পরিবেশ সুন্দর রাখতে একদমই সচেতন নই। যখন যেখানে ইচ্ছা ময়লা–আবর্জনা ফেলতে দ্বিতীয়বার ভাবি কি না, সন্দেহ। সেটা যেকোনো বয়সের নাগরিকই হই না কেন। এমনও সচরাচর দেখা যায়, প্রাইভেট কার থেকে প্রধান সড়কেই চিপসের প্যাকেট ফেলে দেওয়া, বাসার আশপাশে খাল বা ডোবা থাকলে বাসা থেকেই সোজা পানিতে ফেলে দেওয়া। মনে হয় যেন ডাস্টবিনে ফেলে দিল, কোনো সংশয়, সংকোচ ছাড়া।

আমাদের এভাবে এলোমেলো ময়লা ফেলার ফলে যেখানে–সেখানে আবর্জনা তৈরি হয়। রাস্তার আশপাশের ড্রেনগুলো আটকে যায়। দুই বাসায় গলিতে আটকে পড়ে শত শত প্যাকেট থেকে শুরু করে নানা অজৈব আবর্জনা। শহরগুলো পরিষ্কার করার জন্য সিটি করপোরেশনের লোকবল আছে। কিন্তু দায় শুধু তাদের ওপর দিলেই কি হয়ে যাবে? নাগরিক হিসেবে আমাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই এই শহর পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখার? কেন আমরা ইচ্ছেমতো যেখানে–সেখানে ফেলে দিচ্ছি আমাদের ব্যবহৃত আবর্জনা? এমন ময়লা–আবর্জনা বছরের একটা সময়ে বিভিন্ন রোগজীবাণু ছড়ায়। যার অন্যতম হলো ডেঙ্গু। যেটা প্রতিবছর শত শত প্রাণহানি ঘটায়। যেটার ব্যর্থতার দায় শুধু সিটি করপোরেশনের নয়। একজন নাগরিক হিসেবে আমার–আপনার সবার।

সুতরাং আমার শহর, আমার আশপাশ পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আমার। যেখানে–সেখানে ময়লা–আবর্জনা না ফেলে ডাস্টবিন ব্যবহার করার প্রতি আমাদের আগ্রহ বাড়তে হবে। বাড়াতে হবে আমাদের মধ্যে পরিবেশবিষয়ক সচেতনতা।

*লেখক: মো. সায়েদ আফ্রিদী, শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ