আর্জেন্টিনা বাংলাদেশে আসার প্রসঙ্গ

ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ২০২২ বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনারয়টার্স

গত বছর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসর। এ আসরে বাংলাদেশের নামটি ছিল বেশ কাল্পনিক। সাধারণত প্রতি আসরে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা দলগুলো বিশেষ আলোচনায় থাকলেও এবার বাংলাদেশ ছিল বিশ্ব গণমাধ্যমের অন্যতম শিরোনাম। প্রায় যুগের পর যুগ আর্জেন্টিনা–ব্রাজিল সমর্থন করে আসা বাংলাদেশের মানুষের ফুটবল জনপ্রিয়তা খুব ভালোভাবে টের পেয়েছে বিশ্ববাসী। বিশেষ করে লাতিন আমেরিকার দুই দেশ আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল।

লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের প্রতি এ দেশের কোটি ফুটবল ভক্ত-সমর্থকদের ভালোবাসায় প্রশংসায় ভাসেন বাঙালিরা। তাই মরুর বুকে বিশ্বকাপ জেতা লিওনেল মেসিদের বাংলাদেশে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এ জন্য বাফুফে আনুষ্ঠানিকভাবে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়েছে। সেই চিঠিতে আর্জেন্টিনাও বাংলাদেশে খেলতে আসার ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়ে খেলার আগ্রহ প্রকাশের খবরও গণমাধ্যমে এসেছে। তবে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী জুনে বাংলাদেশে আসছেন মেসিরা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এ ব্যাপারে কিছুই জানে না আর্জেন্টিনা গণমাধ্যম।

আর্জেন্টিনা বাংলাদেশে আসার বিষয়টি এখনো কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাদের সঙ্গে হয়নি কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি। তাহলে বাফুফে কীভাবে জুনে আর্জেন্টিনা আসার খবর নিশ্চিত করে? তা ছাড়া আরও জটিলতা রয়েছে। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে কারা খেলবে, সেটিও এখনো আলোচনায়। আরও রয়েছে মানসম্মত মাঠের অভাব। সবকিছু মিলিয়ে কাজের চেয়ে প্রচারটি বেশি হয়ে গেল না?

মেসি বাংলাদেশে আসুক আমরাও চাই। তাঁর মতো ফুটবল রাজপুতকে আপন করে পাওয়া সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার। কিন্তু আগে নিজ দেশের ফুটবলের উন্নতি করা প্রয়োজন। আমরা যদি মনে করি, বারবার মেসি বাংলাদেশে এলে এ দেশের ফুটবল কাঠামোর উন্নতি ঘটবে, সেটি ঠিক ভাবনা হবে না। বরং আমাদের ভাবনা হওয়া উচিত আগামী ৫ থেকে ১০ বছর দেশের ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করে নিজেদের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া। ভালো মানের র‍্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠা এবং আর্জেন্টিনার মতো দেশের সঙ্গে খেলার সৌভাগ্য অর্জন করা। আর তখন সফলতার সঙ্গে আর্জেন্টিনাকে স্বাগতম জানানো যেতে পারে। তাহলে আমাদের দেশের সার্থকতা।
*লেখক: মোহাম্মদ নাদের হোসেন ভূঁইয়া, শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ।