একটি জামার জন্য কাঁদছে পথশিশু
দেশের ঈদের মার্কেটগুলো এখন বাহারি নকশার পোশাকে ভরপুর। নামীদামি থেকে শুরু করে সবখানেই বেঁচাবিক্রির ধুম লক্ষ করা যাচ্ছে। কেউ কিনছে লাখ টাকার পোশাক আবার কেউ শত টাকার জামা কিনেই সন্তুষ্ট থাকছেন। কিন্তু আমরা কি আমাদের পাশের অবহেলিত একটি পথশিশুর কথা একবারও ভাবছি? পথশিশুটির সামন দিয়ে যখন মার্কেট করে বাহারি রঙের পোশাক কিনে হাতে বেলুন উড়িয়ে যায়, তখন দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে পথশিশুটি। আহ্! আজ যদি তার বাবা থাকত? তাহলে সেও নতুন নতুন ঈদের পোশাক কিনত। হাওয়াই মিঠাই আর বেলুন কিনে বাড়িতে ফিরত।
‘নাগরিক সংবাদ’-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]
আসুন, আমাদের আশপাশের এতিম এবং পথশিশুদের পাশে দাঁড়াই। যার যার আশপাশের দু–একজন পথশিশুদের যদি আমরা দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিই তাহলে তাদের মলিন মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব হবে। যেখানে নিজের বাচ্চাদের একের অধিক পোশাক কিনে দেওয়া হয়, তা থেকে বাঁচিয়ে যদি পথশিশুদের জন একটি রঙিন জামা কিনে দেওয়া হয়, তাহলে তাদের ধূলিধূসরিত মলিন মুখটি হাসিময় হয়ে উঠবে। আর ঈদের দিনটি হয়ে উঠুক পথ শিশুদের সঙ্গে খাবার খেয়ে। বাড়ির একটু সেমাই আর একটু ভালোমন্দ খাবারই তাদের ঈদের দিনটি হয়ে উঠতে পারে আনন্দময়। আমরা যে আশরাফুল মাখলুকাত তার নজির এবার হয়ে উঠুক। তাই তো কাজী নজরুল ইসলামের গানটি গেয়ে ঈদের সার্থকতা আমরা পূরণ করি। ‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ, বিলিয়ে দিব আপনারই মাঝে আসমানী তাগিদ....’
লেখক: অলিউর রহমান ফিরোজ, মিরাপাড়া, রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ