ডিইউএসএসের উদ্যোগে কার্জনে গাছপ্রেমীদের কোলাহল
প্রকৃতির সঙ্গে সখ্য মানুষের আদিম ঐতিহ্য। তবে নাগরিক জীবনের যান্ত্রিক কোলাহলে মানুষ ভুলতে বসেছে প্রকৃতির সঙ্গে তার বন্ধুত্বের কথা। ইটপাথরের নগরে তরুণ প্রজন্ম বেড়ে উঠছে। তবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে প্রকৃতির স্পর্শহীন তাদের এ আধুনিকায়ন। মানবজীবনে প্রকৃতি ও বৃক্ষরাজির অবদান যে অনস্বীকার্য, তা বারবার মনে করানোর প্রয়োজন পড়ে না। তবে তরুণ প্রজন্মের প্রকৃতিবিমুখতা চিন্তার ভাঁজ ফেলে দেশের প্রবীণ বিশেষজ্ঞদের কপালে। এ অবস্থায় ২৭ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণে দেখা গেল একদল তরুণ-তরুণী ছোটাছুটি করছে এক গাছ থেকে আরেক গাছের পাদদেশে। সংগ্রহ করছে কার্জন হলের সব গাছের তথ্য। তরুণদের এই দলের মধ্যে একজন প্রবীণ গল্পের ছলে উপস্থাপন করছেন পরিচিত গাছের নানাবিধ অপরিচিত তথ্য।
ভিন্নধর্মী আর গাছকে চেনার এ আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স সোসাইটি (ডিইউএসএস)। তাদের আমন্ত্রণে তরুণ সমাজকে গাছ চেনাচ্ছেন ঢাবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাখহরি সরকার। তিনি উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার, প্ল্যান্ট জেনেটিকস, প্ল্যান্ট হরমোন, মলিকুলার বায়োলজিসহ নানাবিধ বিষয়ের একজন গবেষক। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ কার্জন হলের পাশে উচ্চতর গবেষণার জন্য স্থাপন করেছে গ্রিনহাউস প্রযুক্তিসম্পন্ন একটি বোটানিক্যাল গার্ডেন।
আয়োজনের মূল কেন্দ্রস্থলে ছিল বোটানিক্যাল গার্ডেনের গাছগুলো। পৃথিবীর নানাপ্রান্ত থেকে সংগৃহীত বিলুপ্তপ্রায় নানা প্রজাতির গাছ বিশেষ টিস্যুকালচার প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশি আবহাওয়ার উপযুক্ত করে রোপণ করা হয়েছে এ গার্ডেনে। তরুণ শিক্ষার্থীরা বিমোহিত হয়েছেন ভিন্নধর্মী এসব গাছের নানা চমকপ্রদ বৈশিষ্ট্যর কথা জানতে পেরে। এ ধরনের আয়োজন নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের পরিবেশের প্রতি আরও মনোযোগী আর পরিবেশ সচেতনতায় মুখ্য ভূমিকা রাখতে উদ্বুদ্ধ করে তুলবে বলে মনে করেন সায়েন্স সোসাইটির সদস্যরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স সোসাইটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা বৃদ্ধির প্রয়াসে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে তাদের ভিন্নধর্মী আর চিন্তাশীল নানাবিধ আয়োজনের মাধ্যমে। বিজ্ঞপ্তি