জলবায়ু পরিবর্তন থামাতে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি কক্সবাজারের তরুণদের

জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, জলবায়ু সুরক্ষা ও জলবায়ুতে অর্থায়নের নিশ্চিতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ, নবায়নযোগ্য শক্তির সম্প্রসারণ ও টেকসই কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে কক্সবাজারে জলবায়ু ধর্মঘট (ক্লাইমেট স্ট্রাইক) পালন করলেন তরুণ পরিবেশকর্মীরা| আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এসব দাবিতে বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট পালন করে একশনএইডের যুব প্ল্যাটফর্ম একটিভিস্টা কক্সবাজার| এর আগে তাঁরা কক্সবাজার শহীদমিনার থেকে একটি র্যালি করে প্রেসক্লাব আসেন| এ সময় তাঁদের হাতে বিভিন্ন ধরণের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়| এর মধ্যে কিছু প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল 'ফিক্স দ্য ফাইন্যান্স’, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করো’, ‘ক্ষতিকারক কৃষি চর্চায় বিনিয়োগ বন্ধ করো’, ‘ক্লাইমেট জাস্টিস নাউ’ ‘ ফান্ড আওয়ার ফিউচার’ ‘পে আপ ফর লস অ্যান্ড ড্যামেজ , পে আপ ফর ক্লাইমেট ফাইনান্স, ‘জলবায়ু সহনশীল টেকসই কৃষি চর্চায় বিনিয়োগ করুন' পরিবেশবান্ধব পর্যটন চাই” , প্যারাবন ধবংস করে উন্নয়ন চাই না।

প্রেসক্লাবে সভায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয় নিয়ে কথা বলেন একশনএইড বাংলাদেশ-এর যুব প্ল্যাটফর্ম এক্টিভিস্টার তরুণেরা । জাহানারা আকতার বলেন, ক্ষতিকর জ্বালানী বন্ধ করে পরিবেশবান্ধব বিকল্প আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। জলবায়ু কর্মী তারেক কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সভা সেমিনারে প্লাস্টিক ব্যানারসহ প্লাস্তিকজাত বিভিন্ন পণ্য পরিহার করার দাবি জানান। এছাড়াও প্যারাবন নিধন বন্ধের দাবি জানিয়ে বনায়ন বৃদ্ধির কথা বলেন কক্সবাজারের একটিভিস্টা আকিব।

তরুণ জলবায়ু যোদ্ধা সায়মন তার বক্তব্যে তুলে ধরেন ক্ষতিকর জীবাশ্ব জ্বালানীতে বৈশ্বিক অর্থায়ন বন্ধ করা প্রয়োজন এবং বিশ্ব নেতাদের কাছে দাবি জানান এ অর্থায়ন বন্ধ করে সুন্দর ভবিষৎ নিশ্চিত করার।

কক্সবাজারে তরুণ জলবায়ু কর্মীদের সাথে সংহতি জানিয়ে একশনএইডের কর্মকর্তা তাফহীমুল জান্নাত সিফাত বলেন, জলবায়ু সমস্যা নিরসনে একসাথে আওয়াজ তুলেছে কক্সবাজারের তরুণরা। জীবাশ্ম জ্বালানীতে অর্থায়ন বন্ধের জন্য বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট থেকে আজ যে দাবি উত্থাপিত হয়েছে, সেটা জলবায়ু সুবিচার আদায়ের আন্দোলনকে আরো বেগবান করবে। ' জলবায়ু সংকট নিরসন, এই বিষয়ে ন্যায়বিচার দাবি ও জনগণকে সচেতন করতে একশনএইড বাংলাদেশ ও এক্টিভিস্টা বাংলাদেশসহ ১৫ টি সংগঠনের পাঁচ শতাধিক তরুণ জলবায়ু কর্মী এই স্ট্রাইকে অংশ নেন। একই সময় সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কুড়িগ্রাম, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, জামালপুর, সুনামগঞ্জ, গাজীপুর, চাঁদপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, নেত্রকোনা, কক্সবাজার, টেকনাফ এবং বরগুনাসহ ১৯ টি জেলার এবং ৭ টি লোকাল ইয়ুথ হাবের তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরাও গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে সংহতি প্রকাশ করেন।

তরুণ জলবায়ু কর্মীদের এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে একশনএইড বাংলাদেশ এর ইয়াং পিপল টিম লিড মো: নাজমুল আহসান বলেন, “আমরা জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগের জন্য তরুণদের কণ্ঠস্বরের সাথে আমাদের সংহতি প্রকাশ করছি। আমাদের এবং তরুণ প্রজন্মের জন্য এখনই সবুজ উত্তরণের পথে থাকা উচিত। আমরা বাংলাদেশ এবং সারা বিশ্বে সবচেয়ে জলবায়ু-চাপগ্রস্ত মানুষের দুর্বলতা এবং ক্ষতি এবং ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় বিনিয়োগের দাবি জানাই।”