ফায়ার সার্ভিস দুর্যোগঝুঁকি প্রশমনেও কাজ করে: মহাপরিচালক মাইন উদ্দিন
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সদস্যরা শুধু দুর্যোগের পরই কাজ করেন না, দুর্যোগের আগে শান্তিকালীনও অগ্নিনিরাপত্তা জোরদার ও দুর্যোগঝুঁকি প্রশমনে নানা ধরনের কাজ করে থাকেন। প্রশিক্ষণ, সার্ভে, পরিদর্শন, মহড়া, গণসংযোগ ইত্যাদি এর মধ্যে অন্যতম। এসব কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হলো দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো এবং সংঘটিত দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সহনীয় পর্যায়ে রাখা। সব দুর্যোগ মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস যেমন প্রস্তুত রয়েছে, তেমনি এর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ চলমান। এ ধারা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে দেশকে সুরক্ষাবলয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
মাইন উদ্দিন বলেন, ‘দেশে দ্রুত নগরায়ণ, শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। এ বছর জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে সংঘটিত ১৭ হাজার ৫২৫টি অগ্নিদুর্ঘটনায় রেসপন্স করেছে ফায়ার সার্ভিস। এসব দুর্ঘটনায় অপারেশনাল কাজ করে আনুমানিক ১ হাজার ২১৪ দশমিক ৩৯ কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা করেছেন আমাদের ফায়ারফাইটাররা। গত ৭ মাসে ৬৬৪টি নৌযান দুর্ঘটনা, ৫ হাজার ৭২৯টি সড়ক দুর্ঘটনা এবং ১ হাজার ৭০০টি অন্যান্য দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজ পরিচালনা করেছে ফায়ার সার্ভিস। এসব দুর্ঘটনায় ৯ হাজার ৬৮০ জন আহত হয়েছেন এবং ১ হাজার ৩৭৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গত ৭ মাসে ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্স–সেবার আওতায় সারা দেশে ৫ হাজার ৬২৯ রোগীকে হাসপাতালে পরিবহন করা হয়েছে।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমাদের সদস্যরা অগ্নি প্রতিরোধে এবং মানুষকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ২ হাজার ৬৯৯টি সরকারি ও ৮ হাজার ১০৭টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে মহড়া পরিচালনা করেছে ফায়ার সার্ভিস। একই সময়ে বস্তিতে মহড়া করা হয়েছে ৭৯২টি; হাটবাজার, শপিং মল, বিপণিবিতান ইত্যাদিতে ৭ হাজার ১২৬টি; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৪৩৯টি এবং বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে মহড়া পরিচালনা করা হয়েছে ২ হাজার ৪২টি। এ সময় ৮৫১টি বহুতল ভবন পরিদর্শন করা হয়েছে। মহড়া ও পরিদর্শনের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সচেতন করার জন্য প্রতিষ্ঠান ও ভবনগুলোর ত্রুটিবিচ্যুতি উল্লেখ করে তা সংশোধনের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
অগ্নিনিরাপত্তা জোরদার করতে ২ হাজার ৪৮৯টি কোর্সের মাধ্যমে ৯০ হাজার ৭২০ জনকে অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩১৩টি সরকারি ও ১ হাজার ২৮টি বেসরকারি ভবন সার্ভে করা হয়েছে। পাশাপাশি মানুষের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা টিভিসি, শর্ট ফিল্ম, অ্যাপস ইত্যাদি নির্মাণ ও প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আরও উল্লেখ করা যেতে পারে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য ১ হাজার ৬২৪টি প্রশিক্ষণ কোর্সের মাধ্যমে ৬৪ হাজার ৯৬০ জনকে অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। মহড়া করা হয়েছে ১ হাজার ৬৫টি, সার্ভে করা হয়েছে ২৪টি প্রতিষ্ঠানের।’
মো. মাইন উদ্দিনের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদের দায়িত্ব পাওয়ার ১০০ দিন পূর্ণ হচ্ছে ২ সেপ্টেম্বর। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই নেতৃত্ব দিতে হয়েছে চট্টগ্রামের বিএম কনটেইনার ডিপোর স্মরণাতীতকালের ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনার। বিপুলসংখ্যক প্রাণহানির পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসেরও ১৩ সদস্যের প্রাণ গিয়েছে এ দুর্ঘটনায়। তবে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাইন উদ্দিনের দূরদর্শী সিদ্ধান্তে গুরুতর আহত হওয়া ফায়ার সার্ভিসের অন্য সদস্যদের দ্রুত সিএমএইচে ভর্তির মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করায় তাঁদের জীবন রক্ষা পেয়েছে।
এ ছাড়া তাঁর ত্বরিত পদক্ষেপে গুরুতর দুজন ফায়ারফাইটারকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে দ্রুত চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মাইন উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এমন আন্তরিক সাপোর্টের কারণে আল্লাহর রহমতে আমরা আরও ফায়ারফাইটারের মৃত্যু এড়াতে সক্ষম হয়েছি।’
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক জানান, সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনার পর পরিদর্শন কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। চট্টগ্রামের অন্য ডিপোগুলোতেও পরিদর্শন করে তাঁদের সেফটি সিচুয়েশন দেখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের ২৫টি ডিপোর মধ্যে ২টি বন্ধ ডিপো ছাড়া বাকি ২৩টি ডিপো পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত সেফটি পরিকল্পনা আছে, তবে তার ২টিতে নিরাপত্তা শর্ত প্রতিপালন করা হয়নি। অন্য ১৭টি প্রতিষ্ঠানের কোনোটিরই অনুমোদিত সেফটি প্ল্যান নেই এবং অগ্নিনিরাপত্তার মান অসন্তোষজনক। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ফায়ার সার্ভিস থেকে সেফটি প্ল্যান গ্রহণের জন্য এবং অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসকে নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানান মহাপরিচালক। মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘যাঁর জন্ম না হলে আমরা স্বাধীনতা পেতাম না, স্বাধীনতার সেই মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে মিরপুরে “বঙ্গবন্ধু কর্নার” স্থাপন করা হয়েছে। এতে নবনিযুক্ত ফায়ারফাইটাররা মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা সম্পর্কে জানতে পারেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের সেবায় উদ্বুদ্ধ হতে পারেন। এ ছাড়া জাতীয় শোক দিবসসহ জাতির পিতার প্রতিটি কর্মসূচি গুরুত্বের সঙ্গে প্রতিপালন করা হচ্ছে।’
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা সীতাকুণ্ডের দুর্ঘটনায় আত্মত্যাগকারী ১৩ সদস্যকে জাতীয় বীর/অগ্নিবীর খেতাব প্রদানসহ মরণোত্তর পদক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং বিভিন্ন অপারেশনাল কাজে আত্মাহুতি দেওয়া ফায়ার সার্ভিসের বীর শহীদদের ঈদ শুভেচ্ছা প্রদান করেছি। প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মনোবল শক্ত রাখার জন্য বিদ্যমান ঝুঁকি ভাতা সব পর্যায়ের কর্মীদের জন্য নিশ্চিত করতে সংশোধিত ঝুঁকি ভাতা আদেশ জারির প্রস্তাব করা হয়েছে। কর্মীদের আজীবন রেশন প্রদানের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। চাহিদা ও ক্রয় পরিকল্পনাকে সুষ্ঠুভাবে সমন্বয় করা হচ্ছে। প্রতিবছর কর্মীদের মধ্য থেকে কিছুসংখ্যক কর্মীকে সরকারি খরচে হজ পালনের সুযোগ দিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কর্মীদের যথাসময়ে পদোন্নতি নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অবসর গ্রহণের পূর্বে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ জেলার কাছাকাছি পোস্টিং–সুবিধা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সব বিভাগীয় দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য এমআই রুম চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে ঢাকার ট্রেনিং কমপ্লেক্স ও খুলনা বিভাগে এমআই রুম চালু করা হয়েছে। অন্য বিভাগগুলোতেও স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এমআই রুম চালু করা হবে। ফায়ার স্টেশনসহ বিভিন্ন অফিসের জমি নামজারির ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্যে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নামে নামজারির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
সাম্প্রতিক সময়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তাঁদের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনায় আধুনিকতা প্রসঙ্গে মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের উন্নত ও আধুনিক প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছি। বনিয়াদি প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের প্রশিক্ষণের জন্য বিদ্যমান সিলেবাস আধুনিক ও বাস্তব উপযোগী করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চলমান নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে নবনিযুক্ত অফিসার ও কর্মচারীদের জন্য এই সিলেবাস কার্যকর করা হবে।
বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের সঙ্গে ওয়েলফেয়ার নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ও ওয়েলফেয়ার সমন্বিতভাবে চলমান রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। পূর্বাচল মাল্টিপারপাস ট্রেনিং কমপ্লেক্সে ফায়ারফাইটার, ড্রাইভারসহ বিভিন্ন পদের বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণ অবকাঠামো তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মিরপুর ট্রেনিং কমপ্লেক্সসহ প্রতিটি বিভাগীয় ট্রেনিং সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম সংগ্রহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অফিসারদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাঁদের পেশাগত বিষয়ে পিএইচডি কোর্সের জন্য উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ডুবুরি পদে নিয়োগপত্র দেওয়ার আগে তাঁদের নৌবাহিনী থেকে চেম্বার টেস্ট করে আনার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এতে প্রশিক্ষণকালীন সর্বোচ্চ মান অর্জন করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া ড্রাইভারদের বনিয়াদি প্রশিক্ষণে পিটি-প্যারেডের পাশাপাশি এখন থেকে ৩৩ শতাংশ প্রশিক্ষণ শুধু গাড়ি চালনার ওপর করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। নদী ফায়ার স্টেশনের মাস্টার ড্রাইভার, ইঞ্জিন ড্রাইভার পদের কর্মচারীদেরও নিড-ব্যাসিস বনিয়াদি প্রশিক্ষণব্যবস্থার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সর্বপরি প্রশিক্ষণের জন্য আধুনিক সুবিধা ও সিমুলেটর–সংবলিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফায়ার একাডেমি গড়ে তোলার জন্য আমরা মুন্সিগঞ্জে ১০০ একর জায়গা অধিগ্রহণ করেছি। কাজেই আমি মনে করি, ফায়ার সার্ভিসের আগামী দিনের প্রশিক্ষণগুলো হবে আধুনিক, উন্নত, বাস্তবতার নিরিখে প্রয়োজন অনুযায়ী এবং সময়োপযোগী ও কার্যকর।’
মো. মাইন উদ্দিন আরও বলেন, ‘২২টি সদর ফায়ার স্টেশনকে দুর্যোগঝুঁকি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান বিবেচনায় মানোন্নয়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ফায়ার স্টেশন স্থাপন নীতিমালা অনুসারে সব প্রকল্পের অধীন নির্মাণাধীন ফায়ার স্টেশন স্থাপনের নকশা প্রণয়নের কাজ চলমান। বহুতল ভবনে অপারেশনাল কাজের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সব বিভাগে উঁচু মইবিশিষ্ট টিটিএল ও স্নোরকেল গাড়ি প্রদানের কর্মসূচি গ্রহণ করে সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৪টি, খুলনায় ২টি, সিলেটে ২টি, রংপুরে ১টি, বরিশালে ১টি, ময়মনসিংহে ১টি ও রাজশাহী বিভাগে ১টি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঢাকায় রাখা হয়েছে ১৪টি।’
ফায়ার সার্ভিসের বহরে আধুনিক ও প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপো এবং নারায়ণগঞ্জের বিসিক শিল্প এলাকার আগুনে আমাদের রিমোট কন্ট্রোল ফায়ারফাইটিং ভেহিকল ব্যবহার করা হয়েছে। ম্যানুয়াল অপারেটেড গাড়ির পরিবর্তে এসব আধুনিক প্রযুক্তির গাড়ি-পাম্প আনা হচ্ছে।’
সাধারণ জনগণের উদ্দেশে মাইন উদ্দিন বলেন, ‘দেশকে অগ্নিনিরাপত্তার দিক থেকে সুরক্ষিত রাখা শুধু ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে একটি দুরূহ কাজ। এ জন্য সাধারণ জনগণেরও সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। সব প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনিরাপত্তা ও দুর্যোগসহনীয় ভবন নির্মাণ, সরঞ্জাম স্থাপন এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও নিয়মিত মহড়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদের সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব নিতে হবে। ফায়ার সার্ভিস দুর্যোগের আগে এসব কাজে সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। আমার অনুরোধ থাকবে, সবাই যেন আমাদের সহযোগিতা নিয়ে এসব কাজ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেন।’