প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার শকুনিদের নখর থাবায় ভীত নয়

দফায় দফায় চলে লুটপাট–ভাঙচুর।

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আমার বিজ্ঞাপনী সংস্থা থেকে বিজ্ঞাপন দিতে যেতাম। ডেইলি স্টারের বিজ্ঞাপনের সিদ্দিক ভাইয়ের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে কথা হতো। প্রথম আলোয় আগে যাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, এখন তাঁদের অনেকেই হয়তো নেই। এমন পত্রিকা দুটিতে দানবের দেওয়া আগুনের লেলিহান শিখা দেখে তাদের ভর্ৎসনা দেওয়ারও ভাষা আমার নেই। এরা সুযোগসন্ধানী। সুযোগ পেয়েই দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করে। তারা এ দেশের মাটি ও মানুষের রক্ত চুষে খেতে চায়।

জুলাই অভ্যুত্থানকে পুঁজি করে দেশের শিল্পকারখানায় আগুন সন্ত্রাস করে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। মানুষের কর্ম কেড়ে নিয়ে বেকারত্বের হার বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। দেশের মানুষ যখন তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, ঠিক সে সময়ই আবার শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকে পুঁজি করে দেশের প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া পত্রিকায় আগুন দেয়, লুটপাট চালায়। যা দেশের মানুষের কাছে বড়ই ঘৃণার পাত্র তাদের কপালে জুটেছে। সরকারও এসব অপকর্মকারীকে ফুটেজ দেখে দেখে আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে।

নাগরিক সংবাদে জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]

স্বাধীনতার পর কয়েক দশক চলে গেছে। কেউ কোনো মিডিয়ায় আগুন ধরিয়ে দিতে সাহস করেনি। গণতন্ত্র অনেকবারই নসাৎ হয়েছে এ দেশে। তাই বলে কোনো কালো হাত এমনটা করতে সাহস করেনি, যা এবার করেছে। এদের ধিক্কার দিতে সুশীল সমাজ তীব্র নিন্দা এবং ক্ষোভ জানাচ্ছে। শকুনিদের তীক্ষ্ণèনখর থাবা থেকে দেশের গণমাধ্যম রক্ষা করতে এখন জোটবদ্ধ হওয়ার সময়। নইলে স্বার্থে আঘাত লাগলে যেকোনো সময় যেকোনো গণমাধ্যমে তারা আক্রমণ করতে পিছপা হবে না। এ দেশের মানুষ রয়েছে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সঙ্গে। এ দুটি পত্রিকার সাংবাদিকেরা কারও চক্ষু গরমে ভীত হয় না। প্রথম আলোর আলো কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আলো পৌঁছে যাবে মানুষের ঘরে ঘরে। এটাই পত্রিকা দুটোর প্রতিজ্ঞা।

লেখক: অলিউর রহমান ফিরোজ, মিরাপাড়া, রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ।