‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট এনার্জি’ শীর্ষক সংলাপ
বেসরকারি সংগঠন শক্তি ফাউন্ডেশন ও সোলশেয়ার গতকাল বৃহস্পতিবার ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট এনার্জি’ শীর্ষক নীতিনির্ধারণী সংলাপের আয়োজন করে। রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ‘পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত’ সাবের হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়েশা খান।
অনুষ্ঠানে জাতীয় গ্রিডে সৌরবিদ্যুৎকে যুক্ত করার বিষয়টি নিয়েই মূলত আলোচনা হয়। শক্তি ফাউন্ডেশন সৌরবিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দেওয়ার কাজ করছে।
সাবের হোসেন চৌধুরী এ উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন, ‘এ উদ্ভাবনের ফলে অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে। এ–সংক্রান্ত আমাদের মৌলিক নীতির ক্ষেত্রে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা কম; বরং কিছু ক্ষেত্রে পরিমার্জনের প্রয়োজন রয়েছে।’
সারাহ কুক বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি নবায়নযোগ্য জ্বালানির পরিমাণ বাড়বে, ততই সাশ্রয়ী হবে এবং দ্রুত বাংলাদেশ জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে। আমরা বিশ্বাস করি যে প্রকল্পটি ভোক্তাদের উপকারে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।’
ওয়াসিকা আয়েশা খান বলেন, এ প্রকল্পটি গ্রামীণ জনগণের সুবিধার জন্য বিদ্যমান সম্পদ (সোলার হোম সিস্টেম এবং বৈদ্যুতিক থ্রি–হুইলারের লিথিয়াম ব্যাটারি) ব্যবহার করছে এবং এদেরকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে পরিণত করছে।
সৌরবিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দেওয়ার প্রকল্পের উপকারভোগী ময়মনসিংহের সাদ্দাম বাজারের বাসিন্দা মকবুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম না যে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রি করা যায়। আমরা কেউই জানতাম না যে সোলার বৈদ্যুতিক তিন চাকার যানবাহনকে চার্জ করতে পারে।’
শক্তি ফাউন্ডেশনের উপনির্বাহী পরিচালক জনাব ইমরান আহমেদ বলেন, শক্তি ফাউন্ডেশন প্রতিনিয়ত টেকসই আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য সবুজ কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে, বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য। এই প্রকল্প সোলার হোম সিস্টেম ব্যবহারকারীদের অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করেছে এবং তাদের জন্য আয়ের একটি অতিরিক্ত পথ তৈরি করে দিয়েছে।