আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন শেষ হলো: টেকসই উন্নয়নের ৫ বিষয় নিয়ে আলোচনা
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩–এর বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ‘ওয়াটার অ্যান্ড ওয়েস্ট: স্ট্রেনদেনিং লোকাল গভর্ন্যান্স ফর আরবান রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি’ শীর্ষক ওই অধিবেশনে টেকসই উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এখানে অংশ নেয় পানি নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ওয়াটারএইড বাংলাদেশ। সম্মেলনে ‘ওয়াটার অ্যান্ড ওয়েস্ট: স্ট্রেনদেনিং লোকাল গভর্ন্যান্স ফর আরবান রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি’ শীর্ষক অধিবেশনটিতে বিশেষজ্ঞরা পানি ও স্যানিটেশনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ওয়েস্ট ইনসিনারেটর নির্মাণ করবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় আমরা এই প্ল্যান্ট তৈরি করব এবং এই বিদ্যুৎ কিনবে সরকার। সেখানে দিনে তিন থেকে চার হাজার টন বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করা হবে এবং প্রয়োজনে ভবিষ্যতে প্ল্যান্টের সক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে। স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির আওতায় এনে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে পারলে ও সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করলে আমরা যেকোনো বাধা অতিক্রম করতে পারব।’
এ আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্লাইমেট পার্লামেন্ট ইন্ডিয়ার সদস্য আগাথা সাংমা, ক্লাইমেট পার্লামেন্ট নেপালের সদস্য মাধব সাপকোটা, বাংলাদেশে সুইস দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব কো–অপারেশন কোরিন হেনচোজ পিগনানি এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান।
অধিবেশনে আলোচনার মূল বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন, কমিউনিটির সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার, সহযোগিতা ও অংশীদারত্বমূলক কার্যক্রম, উন্নত নীতি ও বিধান প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়ন।
অনুষ্ঠানে কোরিন হেনচোজ পিগনানি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের উদ্বেগের জায়গা বের করাই হচ্ছে সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে কার্যকর উপায়। আমরা স্থানীয় সরকার, নাগরিক, সুশীল সমাজ ও তৃণমূলের সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে যাচ্ছি।’
হাসিন জাহান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানছে, যা পানি ও স্যানিটেশনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আমাদের জলবায়ু–সহিষ্ণু অবকাঠামো তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে এবং সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে নারীদের মধ্যে সহিষ্ণুতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে। তাহলে নারীরা দুর্যোগের মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।’