বগুড়ার অর্থনীতি সম্প্রসারণ করছে দই, বাড়ছে কর্মসংস্থান
দেশের সব জেলাতেই কমবেশি দই উৎপাদিত হয়ে থাকে। তবে গত শতকের শুরু থেকে এখন অবধি স্বাদ, মান, জনপ্রিয়তা ও সুখ্যাতিতে বগুড়ার দই-ই সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। শুধু স্বাদেই নয়, দই উৎপাদনেও একক জেলা হিসেবে বগুড়া জেলার অবস্থান প্রথম দিকেই রয়েছে। যদিও দইয়ের ‘রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় বাৎসরিক কী পরিমাণ দই উৎপাদিত হয়, তার কোনো সঠিক তথ্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বগুড়া শহরসহ পুরো জেলায় কমবেশি ছোট-বড় ৪০০টি কারখানায় দৈনিক গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ টনের ওপর দই উৎপাদিত হয় এবং ৫০০টি বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে বগুড়াসহ দেশব্যাপী বিক্রি হয়। উৎসব কিংবা দুই ঈদে দইয়ের চাহিদা দ্বিগুণের বেশি হয়ে থাকে। বর্তমানে বগুড়া জেলা শহরসহ বগুড়ার ১২টি উপজেলাতেই দই উৎপাদিত হয়।
বগুড়া চেম্বারের সহসভাপতি মাফুজুল ইসলামের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে বগুড়া জেলায় প্রতিদিন প্রায় চার কোটি টাকার বেশি দই বিক্রি হয়। সেই হিসাবে বছরে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার দই এবং দইয়ের সঙ্গে ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার ওপর মিষ্টি বিক্রি হয়। এ ছাড়া কোটি টাকার ওপর দই রাখার মাটির সরা ও হাঁড়ি বিক্রি হয়ে থাকে। এই হিসাবে বগুড়া জেলায় বাৎসরিক দই ও মিষ্টির বাজার ১ হাজার ৮০০ থেকে ২০০০ কোটি টাকার ওপরে। দই–মিষ্টি বিক্রিসহ দুধ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে জেলার লক্ষাধিক পরিবার এবং দধি রাখার মাটির সরা ও হাঁড়ি তৈরির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছে আরও বেশ কিছু গ্রামের পাল সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ। বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে এই জেলায় দৈনিক প্রায় ১৮ লাখ লিটার দুধ উৎপাদিত হয়, যার বেশির ভাগ অংশ দই ও মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বগুড়ার দইয়ের ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে জানতে পারি, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ঘোষপাড়ার নীলকণ্ঠ ঘোষের হাত ধরে প্রায় ১৫০ বছর আগে ১৮৬০ থেকে ১৮৭০–এর দশকের দিকে বগুড়ার দইয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল। সেই সময় এ এলাকার ঘোষ সম্প্রদায়ের লোকেরা টক দই তৈরি করে ছোট ছোট হাঁড়িতে ভরে তা ভাড়ে করে গ্রামগঞ্জে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতেন। গত শতকের শুরুর দিকে ঘোষপাড়ার শ্রী গৌর গোপাল পাল বগুড়া শহরে দই বিক্রি শুরু করেন। এরপর বগুড়ার নওয়াব আলতাফ আলী চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতায় গৌর গোপাল পাল বগুড়া শহরে বাণিজ্যিকভাবে দই উৎপাদন শুরু করেন। বগুড়া শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে এখনো সেই গৌর গোপালের দুই উত্তরসূরি বিমল চন্দ্র পাল ও স্বপন চন্দ্র পাল ‘শ্রী গৌর গোপাল দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডার’ নামে প্রাচীন দোকানটি চালাচ্ছেন। গত আগস্টে বগুড়া গিয়ে কথা হয় সেই গৌর গোপালের উত্তরসূরি স্বপন পালের সঙ্গে এবং স্বাদ নেওয়া হয় বগুড়ার সবচেয়ে প্রাচীন দোকানের দইয়ের। সত্যি স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয় ছিল তাদের দই কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী দইয়ের বৈচিত্রায়ন এবং সে অনুযায়ী মার্কেটিং করতে না পারায় বগুড়ার অন্য দইয়ের চেয়ে তারা অনেকটা পিছিয়ে পড়েছেন বলে জানান।
অন্য সূত্রে জানা যায়, গত শতকের ৫০-এর দশকে ঘোষদের পাশাপাশি মুসলমানরাও বগুড়ার দই তৈরিতে জড়িয়ে পড়েন। এর মধ্যে বগুড়া সদরের বাঘোপাড়ার আবদুর রহমান নামের এক ব্যক্তি ‘রফাতের দই’ এবং এই শহরেরই মহরম আলী ‘মহরম আলী দই’ নামে দই উৎপাদন শুরু করেন। তাঁদের মাধ্যমে ১৯৮০–এর দশকের দিকে শুরু হয় বগুড়ার সরার দইয়ের প্রচলন, যা স্বাদে ভিন্নতার কারণে অল্পদিনেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এরপর ১৯৮০–এর দশকে ব্যবসায়ী আহসানুল কবির বগুড়া শহরে ‘দইঘর’ নামে সুসজ্জিত শোরুম খুলে সরা ও হাঁড়িতে দই বিক্রিতে আধুনিকতা ও অভিনবত্ব আনেন। কাছাকাছি সময়ে ভিন্ন স্বাদের দই বানিয়ে সাড়া ফেলে দেয় এশিয়া সুইটস। এরপর বগুড়া শহরে দ্রুত দই ব্যবসার বিকাশ ঘটতে থাকে।
বর্তমানে বগুড়া জেলার প্রায় প্রতিটি বাজারেই দই বিক্রি হয়ে থাকে, তবে স্বাদ ও মান বিবেচনায় বগুড়ার প্রসিদ্ধ দই প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এশিয়া সুইটস, দইঘর, আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল, শ্যামলী হোটেল, রফাত দইঘর, মহরম আলী দই, গৌর গোপালের দই, চিনিপাতা দই, শেরপুর দইঘর, ফুড ভিলেজ, সাউদিয়া, জলযোগ, বৈকালি ও শুভ দধি ভান্ডার ও শম্পা দধি ভান্ডারের দইয়ের কদর তুলনামূলক বেশি। তবে এশিয়া সুইটসের চিরাচরিত ঘিয়ে রঙের দইয়ের পাশাপাশি তাদের সাদারঙের ভুনা সরের অল্প মিষ্টির ‘শাহি স্পেশাল দই’, কড়া মিষ্টির ‘সুপার স্পেশাল দই’, মিষ্টিহীন সাদা দই এবং পাতলা টক দই বেশি জনপ্রিয়। এশিয়া সুইটস প্রতি সরা শাহি ও সুপার স্পেশাল দই ২২০ টাকা, সাদা সরা দই ১৬০ টাকা ও পাতলা টক দই ৮০ টাকায় বিক্রি করে। আলাপকালে দইয়ের কারিগরেরা জানান, বর্তমানে তাঁরা খামারিদের নিকট থেকে প্রতি লিটার দুধ ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় ক্রয় করছেন। সাধারণত ৪০ লিটার দুধ দিয়ে ২৬ থেকে ২৯টি সরা দই তৈরি করে থাকেন। মিষ্টি দই করতে এই দুধের সঙ্গে আরও ছয় কেজি চিনির প্রয়োজন হয়। প্রতিটি সরায় ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম পর্যন্ত দই থাকে। এই ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের একটি সরা দই তৈরি করতে ১ দশমিক ৫০ থেকে ১ দশমিক ৭৫ লিটার দুধ লাগে। সরার আকার, দুধ-চিনির দাম ও উৎসব-পার্বণ সাপেক্ষে প্রতিটি সরা ১৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়।
বর্তমানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বগুড়ার দইয়ের চাহিদা থাকায় বগুড়ায় উৎপাদিত দই বিভিন্ন মাধ্যমে সারা দেশে চলে যাচ্ছে। এমনকি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশি পর্যটকদের মাধ্যমে ভারত, সৌদি আরব, কুয়েত, পাকিস্তান, নেপাল, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইতালি, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে বলে জানা যায়। ইতিমধ্যে বগুড়ার এই সরার দই ২৫ জুন ২০২৩ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) কর্তৃক ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে বিশ্বের দরবারে বগুড়ার দইয়ের মর্যাদা যেমন বাড়াবে, তেমনি রপ্তানিতেও সুবিধা পাবে। এ ছাড়া এই স্বীকৃতি বগুড়া দইয়ের মান ও দাম নির্ধারণে একটি বড় ভূমিকা রাখবে।
দিন দিন বগুড়ার দইয়ের সুখ্যাতি দেশসহ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশে বাড়ছে, সঙ্গে বাড়ছে দইয়ের বাজার। দইয়ের বাজারের টেকসই সম্প্রসারণ এবং দইকে একটি রপ্তানিযোগ্য পণ্যে রূপান্তরের জন্য দরকার সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়ে দীর্ঘমেয়াদি টেকসই পরিকল্পনা। এ বিষয়ে বগুড়ার স্থানীয় এনজিও গণ উন্নয়ন কর্মের (গাক) লাইভস্টক ও ভ্যালু চেইন স্পেশালিস্ট ডা. মো. জিয়াউর রহমান বলেন, বগুড়ার দই উৎপাদন সেক্টরটির টেকসই উন্নয়ন করতে হলে দইয়ের সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে জড়িত উৎপাদনকারী থেকে শুরু করে তার ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড মার্কেটের সঙ্গে জড়িত সব পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করে সে মোতাবেক অর্থায়ন থেকে শুরু করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, পণ্যের বৈচিত্রায়ন, গুণগতমান বৃদ্ধি, ব্র্যান্ডিং, মার্কেট লিংকেজ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশাধিকার বিষয়ে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতা ও বগুড়াকেন্দ্রিক বিভিন্ন কমন সার্ভিস সেন্টার স্থাপনের প্রয়োজন হবে। এতে একদিকে যেমন এই সেক্টরের টেকসই উন্নয়ন হবে, অন্যদিকে হাজারো নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং এই সেক্টরের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত গাভি পালন সেক্টরটির টেকসই সম্প্রসারণ হবে।
বগুড়ার দইসহ দেশের অন্যান্য কৃষি ও অকৃষি পণ্যের টেকসই উন্নয়ন এবং এসব পণ্যের আন্তর্জাতিকবাজারে প্রবেশাধিকার প্রসঙ্গে থাইল্যান্ড পরিদর্শনকালে কথা হয় এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এআইটি) কর্মরত ড. মোহাম্মাদ জাকির হোসেনের সঙ্গে। তিনি ২০ বছরের অধিক সময় ধরে সেই দেশে বসবাস করছেন এবং তাঁর থাইল্যান্ডের কৃষিপণ্যে উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বাজারজাতকরণ, পণ্য বৈচিত্রায়ন এবং এসব পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশাধিকারের বিষয়ে থাইল্যান্ড সরকারের সরকারি অবদান বিষয়ে বিস্তর অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি তাঁর থাই অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, বাংলাদেশে প্রতিটি জেলায় কমবেশি অনেক প্রসিদ্ধ কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য অকৃষিজ পণ্য পাওয়া যায় কিন্তু এসব পণ্যের অধিকাংশের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশাধিকার নেই। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার জাপান সরকার কর্তৃক ১৯৭৯ সালে গৃহীত One Village One Product (OVOP) অথবা থাইল্যান্ড সরকার কর্তৃক ২০০১ সালে গৃহীত One Tambon One Product (OTOP) মডেলের অভিজ্ঞতা নিয়ে যে জেলা অথবা যে অঞ্চল অথবা যে গ্রাম যে পণ্যের জন্য প্রসিদ্ধ, সেসব জেলা বা অঞ্চল বা গ্রামকে ওই পণ্যের জন্য প্রসিদ্ধ অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সেই পণ্যের ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজ শক্তিশালীকরণের পাশাপাশি যত প্রকার সহযোগিতার প্রয়োজন হবে, তা নিশ্চিত করার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে, কেননা, ২০ বছর ধরে OTOP মডেলের আওতায় থাই সরকার সে দেশের সব পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ পর্যন্ত সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছে, যার ফলে আজ থাইল্যান্ড কৃষি পণ্যসহ অন্যান্য অপ্রচলিত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে রপ্তানিযোগ্য পণ্যে রূপান্তর এবং সেসব পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বিশ্ববাজারে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলছে। পাশাপাশি থাইল্যান্ডের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। যদি বাংলাদেশ সরকার জাপানের OVOP অথবা থাইল্যান্ডের OTOP মডেলের মতো একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে, তবে তা একদিকে যেমন স্থানীয় পণ্যগুলোর গুণগত মান বাড়াবে, অন্যদিকে সেসব পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
সার্বিক বিবেচনায় জাপানের OVOP অথবা থাইল্যান্ডের OTOP–এর মতো মডেল ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে বগুড়ার মতো যদি আমরা দেশের ৬৪টি জেলাকে ৬৪টি অথবা One Cluster One Product (OCOP)–এর মতো একটি হাইব্রিড মডেল উন্নয়ন অর্থাৎ সারা দেশে বিরাজমান প্রতিটি ব্যবসাগুচ্ছে এক বা একাধিক সমজাতীয় পণ্যের মাধ্যমে গুচ্ছভিত্তিক ব্র্যান্ডিং করতে পারি, তবে তা স্থানীয় অর্থনীতিকে যেমন চাঙ্গা করবে, তেমনি স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং সার্বিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। যদিও কাগজ-কলমে সরকারের এই ধরনের একটি কর্মসূচি আছে, তবে তার কার্যকর প্রয়োগ নেই। সে ক্ষেত্রে দরকার হবে সরকারের সেই কর্মসূচির দীর্ঘমেয়াদি কার্যকর প্রয়োগ, স্থানীয় উদ্যোক্তাদের স্বউদ্যোগ এবং ব্যবসা উপযোগী অনুকূল পরিবেশ তৈরি জন্য বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি সেক্টরের সমন্বিত উদ্যোগ, যে কাজটি করে চলেছে ডেনমার্ক ও থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলো।
লেখক: ব্যবস্থাপক, পিকেএসএফ