স্তন ও জরায়ুর ক্যানসার প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে ক্যাম্পেইন
স্তন ও জরায়ুর ক্যানসার প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্তকরণের গুরুত্ব ও প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে রংপুর ক্যানসার ফাউন্ডেশন রংপুরের রোকেয়া কলেজে স্তন ও জরায়ুর ক্যানসার সচেতনতাবিষয়ক ক্যাম্পেইন করেছে। গত সোমবার কলেজের কয়েক শ শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়।
দেশের নারীদের মধ্যে স্তন ও জরায়ুর ক্যানসার সবচেয়ে বেশি হয়। স্তন ও জরায়ুর ক্যানসার যখন নির্ণয় হয়, তখন দেখা যায় অধিকাংশ রোগীর অ্যাডভান্সড স্টেজ। এর অন্যতম একটি কারণ হলো, লোকলজ্জার ভয়ে রোগটিকে পুষে রাখা। অথচ স্তন ও জরায়ুর ক্যানসার নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে একদম প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয় করা যায় এবং স্তন ক্যানসার নিজে নিজেই স্ক্রিনিং করা যায়। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই রংপুর ক্যানসার ফাউন্ডেশন স্তন ও জরায়ুর ক্যানসার প্রতিরোধে সচেতনতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। প্রতি মাসে রংপুর বিভাগের স্কুল ও কলেজগুলোয় এ ধরনের ক্যাম্পেইন করে থাকে রংপুর ক্যানসার ফাউন্ডেশন। এরই ধারাবাহিকতায় রোকেয়া কলেজে সোমবার ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়।
রংপুর ক্যানসার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্যাম্পেইনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে নারীদের সচেতন করা এবং কত বছর বয়স থেকে স্ক্রিনিং শুরু করবে, কীভাবে নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করবে, কত বছর বয়স থেকে জয়ায়ুর ক্যানসার স্ক্রিনিং করবে, জরায়ুর ক্যানসারের ভ্যাকসিন নেবে ইত্যাদি বিষয়ে সচেতন করা।
ক্যাম্পেইনের মুখ্য আলোচক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ মনি রানী বলেন, স্তন ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য নিজের স্তন নিজেই প্রতি মাসে পরীক্ষা করবে এবং প্রতি তিন বছর পরপর একজন চিকিৎসকের কাছে স্তন পরীক্ষা করতে হবে। জরায়ুর ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য ৯ থেকে ১৫ বছর বয়সী মেয়েদের দুটি ভ্যাকসিন নিতে হয় এবং অত্যন্ত খুশির বিষয় হলো বাংলাদেশ সরকার এই ভ্যাকসিন বিনা মূল্যে সরবরাহ করছে। বিজ্ঞপ্তি