বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাংবাদিকতার যুগোপযোগী পেশাগত উৎকর্ষের তাগিদ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যালেঞ্জগুলো উত্তরণে গণমাধ্যমে আরও বেশি সৃজনশীলতার চর্চা জরুরি বলে মত দিয়েছেন সাংবাদিকেরা। আজ শনিবার (৩ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে গণমাধ্যম ও উন্নয়নবিষয়ক সংগঠন সমষ্টির আলোচনায় তাঁরা বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে বাধা হিসেবে নয়, বরং সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে হবে। এ জন্য সাংবাদিকদের মধ্যে কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির পরামর্শ দেন গণমাধ্যম ও উন্নয়নবিশেষজ্ঞরা।
রাজধানীতে সমষ্টির কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতার নৈতিক ও পেশাদারি উৎকর্ষের দিকে আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার তাগিদ দিয়ে আলোচকেরা বলেন, কম্পিউটার কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কারিগরি সহযোগিতা করতে পারে, কিন্তু সাংবাদিককেই তাঁর বুদ্ধিমত্তা ও পেশাগত নৈপুণ্য দিয়ে মাঠপর্যায়ের সাংবাদিকতা করতে হয়। তথ্য সংগ্রহ কিংবা উপস্থাপনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের নিজস্ব বিশ্বাস বা ধ্যানধারণায় প্রভাবিত না হয়ে বস্তুনিষ্ঠতা ও সত্যনিষ্ঠতার ওপর জোর দেওয়ারও আহ্বান জানান তাঁরা।
‘নাগরিক সংবাদ’-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]
সাংবাদিকেরা বলেন, সত্য তুলে ধরতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক বা গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান যদি ঝুঁকিতে পড়ে, তাহলে সিভিল সোসাইটির বিভিন্ন অংশের তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কাছেও ইতিবাচক ভূমিকার কথা জানান তাঁরা।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কোর ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯৯৭ সাল থেকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন হয়ে আসছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল—নতুন বৈশ্বিক বাস্তবতায় সাহসী রিপোর্টিং: গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব।