রানিং ইভেন্ট ‘ইনস্পায়ারিং বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল

সবার জন্য স্বাস্থ্য ও শিক্ষার আহ্বানে তরুণদের অনুপ্রাণিত করতে ভার্চ্যুয়াল মোডসহ রানিং ইভেন্টের আয়োজন করেছিল সামাজিক ফিনটেক নেটওয়ার্ক ‘ইনস্পায়ারিং বাংলাদেশ’। বাংলাদেশের মানুষের ইতিবাচক গল্প প্রচার করে আলোচনায় এসেছে প্রতিষ্ঠানটি। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ১০ মে রাজধানীর হাতিরঝিলে ভোর সোয়া পাঁচটায় শুরু হয় ‘হায়ার ইনস্পায়ারিং বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্স রান ২০২৪’। আয়োজনের সঙ্গে ফিট নেশন ও দৌড় নামের দুটি লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড সম্পৃক্ত ছিল।

ফিট নেশন হলো স্বাস্থ্য ও ফিটনেস প্রচারণা, ম্যারাথন দৌড়, সাপ্তাহিক ব্যায়াম ক্যাম্প এবং বাংলাদেশিদের অনুপ্রেরণামূলক গল্প এবং তাদের ফিট থাকার লক্ষ্য প্রচারের জন্য একটি কমিউনিটি ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম। এবারের আয়োজনে সহজ ডটকম, গ্লোবাল হেলথকেয়ার সেন্টার, রিচার্জ ইলেকট্রোলাইট বেভারেজ, টোটাল টুলস বাংলাদেশ, পাকেলো লুব্রিকেন্টস, মি নুডলস, নিউট্রি প্লাস, নেসলে গোল্ড কর্নফ্লাক্স, শক্তি প্লাস, রেভো, জেসিআই ঢাকা সিগনেচার এবং এএএসইপিএস নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি , সাউথ ঢাকা সাইক্লিস্ট সহযোগিতা করেছে।

আয়োজনটি সম্পর্কে ইনস্পায়ারিং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ইমরান ফাহাদ বলেন, ‘এই ম্যারাথনের মাধ্যমে আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার তৃতীয় ও চতুর্থ লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সবার জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার অভিগম্যতা বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা ডিজিটালভাবে সংযুক্ত করার মাধ্যমে আউটিং এবং খেলাধুলায় তরুণদের অনুপ্রাণিত করছি ফিট নেশন অনলাইন কমিউনিটির মাধ্যমে। বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্স রানে সাড়ে ৭ কিলোমিটার এবং ১ কিলোমিটার লাইভ সেগমেন্ট ছাড়াও ম্যারাথনে দূরে থেকে অংশগ্রহণের জন্য ভার্চ্যুয়াল রানের বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। আয়োজনে মোট অংশগ্রহণকারী সংখ্যা ছিল ২০০০। নারী রানার ৩৮০ ও শিশু ৯০ জন। পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করার প্রত্যয়ে ১ কিলোমিটার ফ্যামিলি রানের আয়োজন করা হয়। যেখানে শিশু ও অভিভাবকেরা অংশগ্রহণ করেন। ১৯০ জন ভলেন্টিয়ার রানিং ট্র্যাকে ছিলেন রানারদের হাইড্রেশন ও প্রাথমিক চিকিৎসার সহযোগিতার জন্য।

এবারের আয়োজনে প্রথম আলোর হাল ফ্যাশন কনটেন্ট ক্রিয়েটর নাদিয়া ইসলাম নিতুল ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে এবং চিকিৎসক উম্মে হুমায়রা কানেতা, মেডিকেল অফিসার (ওএসডি), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ১ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে শাড়ি পরে প্রথমবার দৌড়ান। শাড়িটি হাতের কাজের নান্দনিক নকশার। শাড়িটি উদ্যোক্তা তাসনীম হোসেন রজবীর ‘কাদম্বরী এক্সক্লুসিভ’-এর। নাদিয়া ইসলাম বলেন, ‘হাজার বছর ধরে বঙ্গদেশের নারীরা শাড়ি পরেই ঘর ও বাইরের দৈনন্দিন কাজ করেছেন, মাঠেঘাটে চলাচল করেছেন। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামেও রণক্ষেত্রে বা প্রশিক্ষণে যেসব নারীর ছবি দেখেছি, তাঁরাও শাড়ি পরেই ছিলেন। এটা কেবল পোশাক নয় আমাদের গর্ব। তাই সেসব নারী, যাঁদের ত্যাগে ও অবদানে আজ আমরা আধুনিক সমাজে এসেছি, খোলা রাস্তায় দৌড়ানোর সাহস পাই, তাঁদের অনুপ্রেরণার সম্মানার্থে আমার এই দৌড়। শাড়ি পরে দৌড়ানো কঠিন বটে, তবে অসম্ভব নয়। বাধা পেরিয়েই তো সুন্দর আলো দেখতে পাই। সাড়ে ৭ কিলোমিটার রান আমার জন্য ছিল ইনস্পায়ারিং।’ উম্মে হুমায়রা কানেতা বলেন, ‘এই রানের রেজিস্ট্রেশন ফি থেকে একটি অংশ স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে ব্যয় করা হবে। এ ছাড়া ক্যানসার হসপিটালে পাঁচজনের চিকিৎসায় এ অর্থ ব্যয় হবে। টেকসই উন্নয়ন, সুস্থ স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর সমাজ গঠনেই দৌড়েছি শাড়ি পরে।’

আগামী অক্টোবরে একটি ফ্যামিলি রানের আয়োজন করা হবে বলে জানান আয়োজকেরা। আয়োজনে নারী ও পুরুষ বিভাগে প্রথম তিনজনকে পুরস্কৃত করা এবং শিশু ক্যাটাগরিতে সম্মিলিতভাবে প্রথম তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি

*নাগরিক সংবাদে ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]