পাঠকের ছবি (১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫)

পাঠকের পাঠানো ছবি থেকে বাছাই করা ছবি নিয়মিত প্রকাশিত হয় নাগরিক সংবাদে।

১ / ৯
ট্রেনের জানালা দিয়ে দুই বোনের দীর্ঘদিন পর মিলিত হওয়ার দৃশ্য দেখা যায়। মনে ভেসে ওঠে সেই বিখ্যাত প্রবাদ, ‘গাঙ্গে গাঙ্গে দেখা হয়, বইনে বইনে দেখা হয় না’। অর্থাৎ বহুদূর বয়ে গিয়ে দুটি নদীর মিলন সম্ভব, কিন্তু কখনো দুই বোনের মিলন সম্ভব নয়। জমির আইলে তাদের মিলন যেন ভাটি বাংলার প্রতিচ্ছবি। বুক ভরা অভিমান ফেলে তারা একে অন্যকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে। সেই কান্নার শব্দে মিশে আছে হাজার বছরের গ্রামবাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য আর ভালোবাসার অমোঘ টান। ছবিটি নেত্রকোনাগামী মহুয়া ট্রেন থেকে তোলা
ছবি: দেলোয়ার হোসেন
২ / ৯
একজন মমতাময়ী মা। পরশ স্নেহের পরশ দিয়ে নিজের বাচ্চাদের দুধ পান করাচ্ছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই হাঁটি। আর তখনই দেখা মিলে কুকুর ছানাদের। এ কুকুরটির আটটি বাচ্চা ছিল। এখন কমতে কমতে দুটি বাচ্চা আছে। পাশেই খাল ও কবরস্থান। সেখানে শিয়াল বাস করে। রাত নামলেই শিয়াল সুযোগ বুঝে বাচ্চাদের ধরে ধরে খায়। কুকুরটি বাচ্চাদের দেখতে না পেয়ে এদিক-সেদিক খুঁজে বেড়ায়। অবলা প্রাণীটি বাচ্চাদের জন্য করুন সুরে কাঁদেও। মিরাপাড়া গোরস্তান, মুন্সীগঞ্জ, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবি: অলিউর রহমান ফিরোজ
৩ / ৯
বাড়ির আঙিনা লাগানো ড্রাগনগাছে ফল ধরছে। মেহার, চান্দিনা, কুমিল্লা, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবি: ওসমান গনি
৪ / ৯
একটি বর্ষাকালীন সৌন্দর্যের সাক্ষী। গাংগাটিয়া, গুণধর, করিমগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ। ছবিটি সম্প্রতি তোলা
ছবি: ইলিয়াছ সোহাগ
৫ / ৯
সারা বেলা খেলা করা ঝলমলে সূর্য যখন বেলা শেষে বিদায় নেয়—সন্ধ্যার আকাশে বিষাদের রক্তিমতা ছড়িয়ে পশ্চিমের আকাশ রাঙিয় নেয়। ছবিটি সম্প্রতি দিনাজপুর ফুলবাড়ি থেকে তোলা
ছবি: স্বাতীলেখা লিপি
৬ / ৯
একজন কৃষক তাঁর কৃষিজমিতে বপন করা বেগুনগাছের পরিচর্যা করছেন। ছায়কট, চান্দিনা, কুমিল্লা, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবি: ওসমান গনি।
৭ / ৯
প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে জীবিকার সন্ধানে নদীতে ছুটে চলা জেলেনৌকা। অরুয়াইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ১২ সেপ্টেম্বর ২৫
ছবি: সূর্য দাস
৮ / ৯
ট্রেন ছুটে চলেছে হাওর-বিলের বুক চিরে। দুই পাশে শুধু জল আর সবুজের বিস্তার। কোথাও কাশফুল দুলছে বাতাসে, কোথাও আবার শুকিয়ে যাওয়া বিলের মাটি ফুঁড়ে উঠছে সোনালি ফসলের আশা। নেত্রকোনাকে হাওরের জেলা বলা হয়, আমি যাচ্ছি সেই হাওরবাংলার শেষ স্টেশন—মহনগঞ্জের দিকে। শরতের আকাশে মেঘের ভেলা ভেসে বেড়াচ্ছে, আলো-ছায়ার খেলায় বদলে যাচ্ছে প্রকৃতির রং। হাওর ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে, উন্মুক্ত হয়ে পড়ছে ফসলি জমি। সদ্য রোপণ করা ধানের চারা একেকটা সবুজ রেখার মতো ছড়িয়ে আছে বিস্তীর্ণ জমিনে। ট্রেনের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি—দুজন কৃষক হাঁটুসমান কাদায় নেমে সনাতন পদ্ধতিতে জমিতে সার ছিটাচ্ছেন। ছবিটি নেত্রকোনার বারহাট্টা থেকে সম্প্রতি তোলা
ছবি: দেলোয়ার হোসেন
৯ / ৯
খালে ভাটা চলছে। পানি কম থাকায় দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে চায়না দুয়ারি জাল। লম্বা নলের মতো এ জালের গিট বা ফাঁস এতই ছোট যে পানি ছাড়া আর কিছুই বের হতে পারে না। দেশি মৎস্যসম্পদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক এ জালে বড় মাছ থেকে শুরু করে মাছের পোনা, ডিম, অন্যান্য জলজ প্রাণী আটকা পড়ে। কম পরিশ্রমে বেশি মাছ ধরার জন্য ব্যবহার করা হয়। এতে করে জলাশয়ের সামগ্রিক জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ে। যদিও এ ধরনের জালের ব্যবহার বাংলাদেশে মৎস্য আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ, তবু মানুষের অতি লোভের কারণে এ জালের অবাধ ব্যবহার নদী, খাল-বিল, হাওরগুলোতে দেশি প্রজাতির মাছের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে। সবার এখনই সজাগ ও প্রতিরোধ করতে হবে। না হলে মাছ শূন্য হয়ে পড়বে আমাদের জলাশয়গুলো। চররমনীমোহন ইউনিয়ন, লক্ষ্মীপুর সদর। ছবিটি সম্প্রতি তোলা
ছবি: হাসান ইমাম