বায়ুদূষণ নিয়ে সচেতনতায় ‘ঢাকা ফ্লো ফেস্টিভ্যাল’–এ শক্তি ফাউন্ডেশনের নানা আয়োজন

ঢাকা ফ্লো ফেস্টিভ্যাল অব ইয়োগা অ্যান্ড ওয়েলনেস-এ নানা আয়োজন করে শক্তি ফাউন্ডেশনছবি: শক্তি ফাউন্ডেশনের সৌজন্যে

বায়ুদূষণ প্রতিরোধ ও এ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে শক্তি ফাউন্ডেশন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার এক ব্যতিক্রমী আয়োজন নিয়ে ঢাকা ফ্লো ফেস্টিভ্যাল অব ইয়োগা অ্যান্ড ওয়েলনেস-এ অংশগ্রহণ করছে প্রতিষ্ঠানটি। শক্তি ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আজ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে আয়োজিত হচ্ছে দুই দিনব্যাপী ফেস্টিভ্যাল অব ইয়োগা অ্যান্ড ওয়েলনেস। এ উৎসবে শিশু ও বড়দের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম আয়োজন করেছে শক্তি ফাউন্ডেশন, যার উদ্দেশ্য ঢাকা শহরের ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণ নিয়ে নগরবাসীকে সচেতন করা।

শক্তি ফাউন্ডেশনের স্টলে ঢুকতেই দেখা মিলবে বায়ুদূষণের মাত্রা নির্দেশক একিউআই মনিটরের, যেখানে দেখানো হয়েছে বায়ুদূষণ কীভাবে প্রতিনিয়ত মানুষের ফুসফুসের ক্ষতি করে। আরও দেখানো হয়েছে বায়ুদূষণের কারণে ঢাকাবাসীর গড় আয়ু কমে যাচ্ছে ৭ দশমকি ৭ বছর।

শক্তি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আরও ছিল শুকনা পাতায় ছবি আঁকার ব্যবস্থা। উদ্দেশ্য, শীতকালে শুকনা পাতা পোড়ানো কীভাবে বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, সে সম্পর্কে মানুষকে জানানো ও পাতা না পুড়িয়ে তা অন্য উপায়ে ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করা।

সকালে স্যার জন উইলসন স্কুলের প্রায় দুই ডজন শিক্ষার্থী শক্তি ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন আয়োজনে অংশ নেয় ও লেকের পাড়ে গাছ রোপণ করে। এরপর উৎসবের ভিন্ন এক আয়োজনে বায়ুদূষণ নিয়ে ‘দ্য পয়জন ইউ ব্রিদ’ শীর্ষক একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন শক্তি ফাউন্ডেশনের ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রোগ্রামের স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজার লাবিবা রহমান। তিনি বলেন, বায়ুদূষণ প্রতিরোধে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও সরকারি পর্যায়ে সবার এগিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি। এ জন্য সবাইকে বেশি করে গাছ লাগানো ও সচেতন হওয়ার আহবান জানান তিনি।

ঢাকা ফ্লোর উদ্যোগে ৬ ও ৭ ডিসেম্বর গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে আয়োজিত হচ্ছে ফেস্টিভ্যাল অব ইয়োগা অ্যান্ড ওয়েলনেস। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা এবং পরিবেশ সুরক্ষা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এ আয়োজনে অংশ নিচ্ছে শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।