চর ও হাওর অঞ্চলের উন্নত কৃষিপদ্ধতি নিয়ে কেয়ার ও বশেমুরকৃবির সভা
কেয়ার বাংলাদেশ বাংলাদেশের চর ও হাওর অঞ্চলের আট জেলায় পাঁচ ধরনের কৃষিপদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করেছে। বেসরকারি সংস্থাটির বাস্তবায়িত স্ট্রেনদেনিং হাউজহোল্ড অ্যাবিলিটি টু রেসপন্ড টু ডেভেলপমেন্ট অপরচুনিটিস (সৌহার্দ্য) প্লাস কর্মসূচির আওতায় এ কাজ হয়। আজ সোমবার সৌহার্দ্য–প্লাস কর্মসূচি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের চর ও হাওর অঞ্চলের উন্নত কৃষিপদ্ধতি’ শীর্ষক এক অবহিতকরণ সভা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উন্নত কৃষিপদ্ধতির মাধ্যমে দরিদ্র ও অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠী কীভাবে ও কতটুকু তাদের জীবন-জীবিকার উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছে, তা আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রমেশ সিং বলেন, কৃষিপ্রযুক্তির উত্তম চর্চাগুলো সংগ্রহ ও সংশোধন করা গুরুত্বপূর্ণ। বেসরকারি সংস্থা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে গবেষণা ও কাজের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সৌহার্দ্য অ্যাকটিভিটির চিফ অব পার্টি মার্ক নসবা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এখনই কাজ শুরু করুন এবং জলবায়ু সংকট মোকাবিলা করুন। আমাদেরকে দ্রুত অভিযোজনে যৌথভাবে কাজ করতে হবে।’
জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী কৃষিকে প্রভাবিত করেছে। অতিরিক্ত খরা, ঠান্ডা ও লবণাক্ততার মতো জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের গবেষণা সংস্থাগুলো ফসলের নতুন ও উন্নত জাত উদ্ভাবনের জন্য অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলায় চর ও হাওর অঞ্চলের জন্য উপযুক্ত বিভিন্ন ফসলের জাত ও কৃষিকৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান আলোচক বশেমুরকৃবির অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কৃষিপ্রযুক্তিকে একক কোনো বিষয় হিসেবে অভিযোজন করা যাবে না, এটি পরিবেশ ও জলবায়ুর সঙ্গে সমন্বয় করে করতে হবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বশেমুরকৃবির ট্রেজারার তোফায়েল আহামেদ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে ভবিষ্যতে কেয়ার বাংলাদেশের সঙ্গে আরও কাজ করতে চাই।’
সভায় চর ও হাওর অঞ্চলের দরিদ্র এবং অত্যন্ত দরিদ্রদের মধ্যে উন্নত কৃষিপদ্ধতির জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে সৌহার্দ্য কীভাবে কাজ করেছে, তা উপস্থাপন করেন প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী গবেষক ফয়সাল কবির। তিনি সৌহার্দ্য কর্মসূচির মাধ্যমে পাঁচটি উন্নত কৃষিপদ্ধতির রূপান্তরমূলক পরিবর্তন তুলে ধরেন (অভিযোজিত ধানের জাত, হোমস্টেড গার্ডেনিং, গবাদিপশু পালন, মাচা ছাগল পালন, হ্যাচিং ঝুড়ি ও হাতের পরাগায়ন)। এসব উদ্যোগ দরিদ্র ও অত্যন্ত দরিদ্র জনগণের আয়বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করেছে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্নাতক শিক্ষার্থী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কেয়ার বাংলাদেশের প্রতিনিধি, অন্যান্য অংশগ্রহণকারীসহ ১৩০ জন উপস্থিত ছিলেন।