জলবায়ু দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনে উদ্ভাবন নিয়ে কেয়ার বাংলাদেশের আলোচনা

কেয়ার বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জলবায়ু দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন ও অভিযোজনের জন্য উদ্ভাবন’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আলোচকেরা
ছবি: কেয়ার বাংলাদেশের সৌজন্যে

কেয়ার বাংলাদেশ সম্প্রতি ‘জলবায়ু দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন ও অভিযোজনের জন্য উদ্ভাবন’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে। রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জাতীয় পর্যায়ের এ আলোচনা সভা হয়।

কেয়ার বাংলাদেশ জলবায়ুসংক্রান্ত প্রকল্প কমিউনিটি লেড ইনোভেশন ফর ক্লাইমেট রিস্ক মিটিগেশন ইন বাংলাদেশ (ক্লাইম্ব) বাস্তবায়ন করছে। এতে সহযোগিতা দিয়েছে ড্যানিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (ডানিডা)।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান। সীমিত সম্পদ নিয়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা ও উদ্ভাবনের প্রশংসা করেন তিনি। ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে আরও সহনশীল দেশ হিসেবে দেখার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে রয়্যাল ডেনিশ দূতাবাসের কমিউনিকেশন অ্যান্ড পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্সের প্রোগ্রাম অফিসার সালওয়া জাহান। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রমেশ সিং এবং কেয়ার বাংলাদেশের হিউম্যানিটারিয়ান অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স প্রোগ্রামের পরিচালক কায়সার রিজভী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে কেয়ার বাংলাদেশের হিউম্যানিটারিয়ান অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স টিমের ডেপুটি ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় দাস ‘জলবায়ু র্দুযোগ ঝুঁকি প্রশমন ও অভিযোজনে জন্য উদ্ভাবন’ শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে জনগোষ্ঠীভিত্তিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে সম্প্রদায়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং উদ্ভাবনী সরঞ্জাম ও পদ্ধতি ব্যবহার করার বিষয়ে আলোকপাত করেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরাও উদ্ভাবনকৌশল সম্পর্কে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। তাঁরা জলবায়ু পরিবর্তন ও জেন্ডারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।

কেয়ার বাংলাদেশের সঙ্গে ক্লাইম্ব প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে রূপান্তর ও সেড। এর লক্ষ্য বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল বাগেরহাটে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর অভিযোজন যোগ্যতা ও জলবায়ু সহনশীলতা বাড়ানো।