মেডএআইয়ের ‘আমার ডক্টর’ এমআইটি সলভের পুরস্কার পেল

ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা গবেষণাপ্রতিষ্ঠান মেডএআইয়ের গবেষকেরাছবি: মেডএআইয়ের সৌজন্যে

‘আমার ডক্টর’ নামে এআইনির্ভর দেশি স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা প্ল্যাটফর্ম উন্মুক্ত হচ্ছে সবার জন্য। এটি তৈরি করেছে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা গবেষণাপ্রতিষ্ঠান মেডএআই। ‘আমার ডক্টর’ প্ল্যাটফর্মটির জন্য এ বছর ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) সলভ এবং জনসন অ্যান্ড জনসন ফাউন্ডেশন হেলথ ইকুইটি ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে মেডএআই।

যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালে যাত্রা শুরু করে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা গবেষণাপ্রতিষ্ঠান মেডএআই। যাত্রার শুরু থেকেই এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসমৃদ্ধ ডিজিটাল অ্যাপের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাবঞ্চিত বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া। স্মার্টফোন থাকা সত্ত্বেও যথাযথ ডিজিটাল শিক্ষার অভাব এবং ভাষাগত বাধার কারণে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা বা যথাযথ স্বাস্থ্যশিক্ষা থেকে বঞ্চিত।

২০২৩ সালে ঢাকার সাভারে ‘স্মার্ট হেলথ চ্যাম্পিয়ন’ প্রোগ্রামের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে মেডএআই। সেখানে পাঁচ নারী পোশাককর্মীকে ‘আমার ডক্টর’ ডিজিটাল হেলথ অ্যাপ ব্যবহার করে তাঁদের কমিউনিটির সদস্যদের ভিডিও কলের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যসেবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। গত আট মাসে এই স্মার্ট হেলথ চ্যাম্পিয়নরা ‘আমার ডক্টর’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে মেডএআই সারা দেশে পাঁচ লাখ মানুষের কাছে আমার ডক্টর ডিজিটাল হেলথ অ্যাপের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে চায়।

এ উদ্যোগের স্বীকৃতি হিসেবেই চলতি বছর ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) সলভ এবং জনসন অ্যান্ড জনসন ফাউন্ডেশন হেলথ ইকুইটি ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড সম্মাননা পায় মেডএআই। প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বের প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোম্পানির মধ্য থেকে বেছে নেওয়া ৩০টি কোম্পানির মধ্যে স্থান পায়।

মেডএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা গর্বিত যে “আমার ডক্টর”কে এমআইটি সলভ এবং জনসন অ্যান্ড জনসন ফাউন্ডেশন স্বাস্থ্য সমতা উন্নয়নে এই স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশের কয়েক কোটি প্রান্তিক মানুষ নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। আমার ডক্টর প্ল্যাটফর্মের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে মেডএআই এই উপেক্ষিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।’