প্রতিবন্ধিতাবিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন নিশ্চিতের আহ্বান
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার, সুরক্ষা আইন ও প্রতিবন্ধিতাবিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা।
গত রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এই আহ্বান জানান। ৩১তম আন্তর্জাতিক ও ২৪তম জাতীয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দিবস উপলক্ষে এই সেমিনারে আয়োজন করা হয়। আয়োজক ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যালায়েন্স অন এসডিজিস বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. কাওসার আহমেদ। যৌথভাবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউএনডিপির আমিনুল আরিফিন ও সাইটসেভার্সের অয়ন দেবনাথ।
সাইটসেভার্সের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন ২০১৩ ও প্রতিবন্ধিতাবিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৯ প্রণয়ন করেছে। এ ছাড়া ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় প্রতিবন্ধিতার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জন করতে হলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়ন অবশ্যই করতে হবে। সরকার তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে যাচ্ছে।
কাওসার আহমেদ বলেন, সরকার শুধু ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাতেই প্রতিবন্ধিতার বিষয়ে জোর দেয়নি, আগামী পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায়ও প্রতিবন্ধিতামূলক অন্তর্ভুক্তি গুরুত্ব পাবে।
ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যালায়েন্স অন এসডিজিস বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সাইটসেভার্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অমৃতা রেজিনা রোজারিও বলেন, গ্লোবাল ডিজঅ্যাবিলিটি সামিট ২০২২-এ বাংলাদেশ সরকার ১১টি অঙ্গীকার করে, যা একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। প্রতিবন্ধিতাবিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে সরকারের একত্রে কাজ করা দরকার।
সেমিনারে ইউনিসেফ, আইএলও ও ইউএন ওমেনের প্রতিনিধিরা লিঙ্গ, অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসংস্থান, প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা প্রভৃতি বিষয়ে বক্তব্য দেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী অফিসের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খান, সেন্টার ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক এএইচএম নোমান খান, ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্ট্রি মনসুর আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় প্রতিবন্ধী নারী পরিষদের সভাপতি নাসিমা আক্তার, বি-স্ক্যানের নির্বাহী পরিচালক সালমা মাহবুব, সেন্টার ফর সার্ভিসেস অ্যান্ড ইনফরমেশন অন ডিজঅ্যাবিলিটির নির্বাহী পরিচালক খন্দকার জহুরুল আলম।