নদী রক্ষায় ও পানিদূষণ রোধে কর্ণফুলীর তীরে ‘চাঁদনী রাতে নদীর গল্প’ অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে নতুন ফিশারিজঘাট অভ্যন্তরে কুতুবদিয়া সন্দীপঘাটে মাঝিমাল্লাদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পরিবেশ সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও মাসিক প্রাণপ্রকৃতির উদ্যোগে জোৎস্নার আলোতে ‘চাঁদনী রাতে নদীর গল্প’ বলার আয়োজন করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর চাঁদের রুপালি আলোতে যখন মাঝিমাল্লাদের অবসর সময় শুরু হয়, তখন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক প্রাণপ্রকৃতি পত্রিকার সম্পাদক ও ধরা চট্টগ্রামের সদস্য সচিব কবি সংগঠক শারুদ নিজাম সবাইকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন।
সূচনা বক্তব্যে সাবেক কাউন্সিলর এবং পরিবেশ সংগঠক ও সাবেক কাউন্সিলর রেহানা বেগম রানু বলেন, ‘মাঝি ভাইদের কাজ নদী থেকে পলিথিন সরিয়ে নেওয়া, নদীতে কোনো রকম বর্জ্য না ফেলা।’
নদীদূষণ নিয়ে অধ্যাপক মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী বলেন, ‘এ সাম্পানে জীবিকা আছে, ঐতিহ্য আছে। এ নদী রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের।’ তারপর নদীদূষণ নিয়ে গানে গানে গল্প করেন সংগীতশিল্পী অভি কিম্বেল ও তাঁর দল।
গান করেন রেহানা বেগম রানু, সাইমুর রহমান এবং নৌকার একজন মাঝি মো. রুবেল।
কথা বলতে আসেন সংবাদকর্মী ও পরিবেশ সংগঠক সরোয়ার আমিন বাবু। তিনি বলেন, ‘এই কর্ণফুলী নদীকে জাতীয় নদী হিসেবে ঘোষণা করার কাজ আমরা করছি। আপনারা, মাঝি ভাইয়েরা ও সাধারণ মানুষ এগিয়ে এলে নদীদূষণ কমবে।’
সমাজ সংগঠক ও পরিবেশকর্মী সাঈদ মিলকি বলেন, নদীতে পলিথিনে ভরে যাচ্ছে। নদী নাব্যতা হারাচ্ছে। এর জন্য ইলিশ হারাচ্ছে। বর্জ্য ও পানিদূষণ নিয়ে বক্তব্য দেন অধ্যাপক ইকবাল সরোয়ার।
কর্ণফুলীসহ পৃথিবীতে ৬৬০টি নদী আছে। সব ময়লা–আবর্জনা এই নদীতে ফেলছে। নদী দূষিত হচ্ছে। সচেতনতা বাড়াতে হবে প্রত্যেকের নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে। গানে–গল্প–কথায় গাঁথা অনুষ্ঠানটি অনেক মাঝিমাল্লা এবং সাধারণ মানুষের কাছে উপভোগ্য হয়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিপণিবিতান প্রজন্মধারা আহ্বায়ক ফরমান উল্লাহ, ব্যবসায়ী রেজাল্ট করিম সেন্টু, সমাজকর্মী রাবেয়া খাতুন শিমুল, আরিয়ানা ইসলাম, জুলিয়ান দি কস্তা, মাঝি সরদার জাবেদ আলম প্রমুখ।
*লেখক: শারুদ নিজাম, সাধারণ সম্পাদক ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) চট্টগ্রাম।