নটর ডেম কলেজের ৭৫ বছর পূর্তি: অলিন্দ-নিলয়ে স্মৃতিগন্ধার সুবাস

১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট। গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান প্রিন্সেস ডায়ানা। প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের পাশেই সেইন নদীর তলদেশের টানেলে। তামাম দুনিয়ায় শোকের মাতম ওঠে। ঐ দিন আরও একটি ঘটনা ঘটে, যা কেউ মনে রাখেনি। নটর ডেম কলেজে আমাদের প্রথম ক্লাস শুরু হয়। অন্যদের কাছে না হলেও, আমাদের কাছে দিনটি ছিল বিশেষ কিছু। সেদিনের ঘটনা, অথচ ২৭ বছর হয়ে গেল। এই সময়ে দুনিয়া বিজ্ঞানের আবিষ্কারে, টেকনোলজি ব্যবহারে আগের তুলনায় কয়েক শতক এগিয়েছে।

এই সময়টায় দুনিয়ায় হয়েছে অনেক যুদ্ধ, ঘটেছে অনেক অশান্তি। এই সময়ের মধ্যে আমরা চলেছি লাখো কদম। সেই পথে চলতে চলতে আজ আবার নটর ডেম কলেজে এসেছি। বসে আছি গাঙ্গুলী ভবনের ২৩১ নম্বর রুমে। বসেছি ঠিক সেই বেঞ্চে, যেটি টানা ২ বছর আমার নামে বরাদ্দ ছিল। যেখানে ভিত রচনা হয়েছে আজকের এই ‘আমি’র। সেই বেঞ্চ আজ যেন টাইম মেশিন, মুহূর্তেই আমাকে পুরানো দিনের সেই সময়ে নিয়ে হাজির করে।  

এখনো বেশ মনে আছে। মাধ্যমিকের ফল বেরিয়েছে। জানতে পারি, পরের দিনই কলেজে ভর্তির সময় শেষ। পার্বতীপুর থেকে হাসান, শামীম ও আমি। বাসে করে ঢাকায় রওয়ানা হই। আমরা তিন জনই জ্ঞানাঙ্কুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র। সেই সময়ে মফস্‌সলের ছেলেদের কাছে ঢাকা মানে আজকের লাসভেগাস যাওয়ার সমান। আমাদের মধ্যে কাজ করছে কলেজে ভর্তির উত্তেজনা। আশেপাশের কোনো কিছুই খেয়ালে আসে না। গভীর রাতে বাস এসে থামে নগরবাড়ি ঘাটে (তখনও বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হয়নি)। ফেরির অপেক্ষায় আছি। অমন সময়ে নদী থেকে হু হু করে বাতাস বয়। সেই বাতাসে আমাদের নাকে ধাক্কা দেয় মুরগির মলের গন্ধ। তখন প্রথম খেয়াল করি, কয়েক খাঁচা মুরগি ও আমরা একই বাসের যাত্রী। বাসের ছাদে মুরগি, তার নিচে আমরা কয়েক জন আদম সন্তান। মুরগির মলের গন্ধে চারদিক ম–ম করছে! যা হোক, পরের দিন কলেজে ফরম পূরণ করে ভর্তি হয়ে যাই। হাসানকে গ্রুপ ৬, শামীমকে গ্রুপ ৩ ও আমাকে গ্রুপ ১–এ বণ্টন করে দেওয়া হয়।  

কলেজ জীবনের কত গল্পই তো আছে। সব কি বলা যায়? কিছু গল্প আছে, শুনলে মনে হবে আমরা সেই শায়েস্তা খাঁর আমলের মানুষ। খুলে বলি, আমি থাকতাম উত্তরা ২ নম্বরে। সেখান থেকে হেঁটে এয়ারপোর্ট স্টপেজে চলে আসি। সায়েদাবাদ-গাজীপুরের বাস ধরে সোজা আরামবাগ কলেজ গেটে নামি। দূরত্ব প্রায় ১৮ কিলোমিটার। ভাড়া মাত্র সাড়ে ৪ টাকা, হাফ ভাড়া ২ টাকা। সেই বাসেই আসা যাওয়ার পথে আস্তে ধীরে পরিচয় হয় সোহেল, রফিক, আশরাফের সঙ্গে। অনেকে গাজীপুর থেকেও আসত। আজ সবার নাম মনে নেই, বেশির ভাগ বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগও নেই। ১ম বর্সে ক্লাস শুরু হতো সকাল অটটায়। রুটিন করে সকাল সাতটায় বাসে উঠতাম, আটটা বাজার ১০-১৫ মিনিট আগে কলেজ গেটে নামিয়ে দিত। তবে ফিরতে ফিরতে অনেক সময় সন্ধ্যা হয়ে যেত। আবার পরের দিন ক্লাস। ঐ বয়সে প্রতিদিন এতটা পথ পাড়ি দেওয়া খুব কি সহজ? সহজ যে নয়, তারও প্রমাণ মিলে। একদিন কলেজ গেটে বাস থেকে নেমে দেখতে পাই, এক বন্ধু ঘুম থেকে লুঙ্গির ওপর প্যান্ট পরেই চলে এসেছে। ক্লাসে উপস্থিতির বিষয়ে কর্তৃপক্ষ খুব কড়া। প্যান্টের নিচে লুঙ্গি থাকলেই কী, কিংবা একদম কিছু না থাকলেই বা কী আসে যায়! উল্লেখ করার মতো ঘটনা আমারও আছে। ফেরার সময় খুব ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। বিশেষ করে যেদিন ল্যাবে ক্লাস থাকত সেদিন। ক্লান্তির চোটে বাসে সিট পেলেই ঘুমিয়ে পড়তাম। কতদিন চোখ খুলে দেখি বাস টঙ্গী কিংবা আরও দূরে স্টেশন রোডে চলে গেছে। কোনো দিন হয়তো চলে গেছি বর্ষণ সিনেমা হল পর্যন্ত। সবকিছুরই নাকি কিছু ভালো দিক থাকে। সুযোগ বুঝে একদিন বর্ষণে সিনেমাও দেখেছিলাম।

কলেজ পেরিয়ে আরও তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ হয়েছিল। জানি, প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানে তুলনা চলে না। তবু কেন জানি না, নটর ডেম কলেজ অন্যদের থেকে একেবারে আলাদা। অনন্য বৈশিষ্ট্যে ভরপুর, যা ঠিক লিখে বোঝানো যাবে না। আজ ক্যাম্পাসজুড়ে প্যান্ডেল, স্টল, বুথ, নানান রঙের পোস্টার, ফেস্টুন, আলোকসজ্জার মনোহরী সাজ। আজ প্রায় ২৪ বছর পর কলেজে পা দিয়েছি। দাঁড়িয়ে আছি বাস্কেট বল কোর্টে। দূরের স্টেজে একে একে উঠছে বিভিন্ন ব্যাচ। অধিকাংশ ব্যাচই বাহারি টি শার্ট পরেছে। ছবি তুলছে। সবার মুখে হাসি, শরীর–মনজুড়ে উচ্ছলতা। কোনো একটি ব্যাচ গাইছে—

‘পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি করে হায়।

ও সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়।’

সেই গানের কথা যেন সবার মর্মে গিয়ে আঘাত হানছে। ছোট ছোট উপদলে যে যেখানে গল্প করছিল, কিছুক্ষণের জন্য গল্প ভুলে গিয়ে সেই গানের সঙ্গে গলা মেলাতে থাকে। আমি বাস্কেট বল গ্রাউন্ডটা খেয়াল করতে থাকি। আজ থেকে সিকি শতক আগে মফস্‌সল শহরে বাস্কেট খেলার সুযোগ ছিল না বললেই চলে। এই গ্রাউন্ডে প্রথম বাস্কেট বল খেলেছিলাম। শহুরে বন্ধুদের অনেকেই ভালো খেলত। তাই নিজে খেলার চেয়ে ওদের খেলা দেখাই আমার কাছে বেশি আরামদায়ক ছিল।

কলেজে আমার দুই বেঞ্চ সামনে বসত নিয়াজ। আমাদের সময়ে বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিল। পরিতাপের বিষয়, বুয়েটে ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই দুনিয়া ছেড়ে চলে যায়। শুধু নিয়াজ নয়, আমাদের সঙ্গে ছিল এরকম অনেক দুর্দান্ত মেধাবী ও চৌকস ছেলে। সেই বন্ধুরা ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে X-Files সিরিজের FBI–এর এজেন্ট ডুকোভনি ও জিলিয়ানকে নিয়ে তাদের মতামত জানাত। জন ডেনভার, এরিক ক্লাপ্টন, ম্যাডোনার গান নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে মেতে উঠত। তখনকার সময়ে ওরা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা দেখত। আমরা তখনো ওসবের নামও শুনিনি। আমরা মফস্‌সলের ধুলা-কাদা ও নিজেদের শরীরে গেঁয়ো গন্ধ নিয়ে ঢাকায় এসেছি মাত্র। ওদের মুখে ওসব অবিশ্বাস্য গল্প শুনতাম আর থ মেরে যেতাম। তখন নিজেদের সেই নৌকার মাঝির মতো লাগত, যার আট আনা জীবনই ছিল বৃথা। দিনকে দিন ওদের সঙ্গে থেকে থেকে আমরাও জাতে উঠছিলাম। মাঝেমধ্যে অনেক মজার ঘটনা ঘটে। একদিন শুনি ওরা কয়েকজন নিজেদের মধ্যে আলাপ করছে। একজন জিজ্ঞেস করছে, তুই কি পাট গাছ দেখেছিস? ধানগাছ কত মোটা হয়? দ্বিতীয় জন না সূচক মাথা নাড়ল। আমি একটু এগিয়ে যাই। ওদেরকে জিজ্ঞেস করি, সত্যি তোমরা ধানগাছ, পাট গাছ দেখনি? ওদের উত্তরের অপেক্ষা না করে হো হো করে হাসতে থাকি। মনে মনে বলি, তোমাদের জীবন ১৬ আনাই মিছে। কিন্তু না, শকুনের বদদোয়ায় গরু কখনো মরে না, সেদিনও মরেনি। আমাদের বন্ধু নাসায়, গুগলে কাজ করে। অনেকেই নিজেদের ক্ষেত্রে দেশের গণ্ডি পেরিয়েছে। আমরা তাদের জন্য গর্ব করি।    

তিন দিন ধরে চলবে এই হীরকজয়ন্তীর প্রোগ্রাম। দ্বিতীয় দিনে (২৬ জানুয়ারি ২০২৪) দেশ–বিদেশ থেকে প্রায় সাত হাজার অ্যালামনি জড়ো হয়েছে কলেজ প্রাঙ্গণে। নিজেরা নিজেদের চেনার জন্য ব্যাচওয়ারি টি-শার্ট পরেছে। আমাদের ব্যাচের মেরুন রং। এদিক–ওদিক যেতে মেরুন রঙা টি-শার্ট দেখলেই বলছি, বন্ধু কেমন আছিস বল? যাকে বলছি তাঁকে হয়তো চিনে উঠতে পারছি না। কিন্তু সে যে আমার বন্ধু, সে বিষয়ে এতটুকু সন্দেহ নেই। আর যারা ক্লোজ ছিলাম, তাদের সঙ্গে গলাগলির সঙ্গে গালাগালিও চলছে। আহ সেই গালিতে, গলাগলিতে কী যে প্রশান্তি, বলে বোঝানো দায়।

স্টেজের সামনে বেশ কয়েকজন শিক্ষককে দেখতে পাচ্ছি। আমাদের সময়ের অধিকাংশই আজ আর চাকরিতে বহাল নেই। শিক্ষক নিয়ে স্মৃতিচারণা করতে হলে প্রথমে যে নামটি আসে, তিনি ফাদার পিশেতো। ছিলেন প্রিন্সিপাল। তাঁর মতো এত অমায়িক, ভালো মানুষ জীবনে কম দেখেছি। ক্লাস শুরুর দিন কয়েক পরেই তিনি ক্লাসে ঢুকে অপটিক্স (আলোক বিজ্ঞান) পড়ানো শুরু করলেন। কলেজ লেভেলে সেকেন্ড ইয়ারে সময় থাকে খুব কম। তাই শুরুতেই সেকেন্ড ইয়ারের সাবজেক্ট পড়িয়ে এগিয়ে নেয়ার এই কৌশল ছিল দারুণ। যা আমি নিজে পরবর্তী জীবনে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। বাংলার মুখতার স্যার, গণিতের নিমাই, রসায়নের বিদ্যাসাগর কিংবা জুওলোজির গাজী আজমল স্যার। কাকে রেখে কার কথা বলি। তবে আরও একজন শিক্ষক ছিলেন, টেরেন্স পিনেরু। যার নাম শুনলেই কলেজের সব বাঘ আর মহিষ এক ঘাটে পানি খেতেও ভুলে যেত। তিনি ছিলেন ছাত্র কল্যাণ পরিচালক। মূর্তিমান আতঙ্কের নাম।

এমনকি সেই টেরেন্স স্যারের ক্লাসও ছিল অসাধারণ। তিনি ইংরেজি পড়াতেন। আমাদের সিলেবাসে ছিল ও হেনরি’র The Gift of the Magi. আমাদের আগের কোনো এক বছরের কথা। সেই গল্প পড়ানো শেষ। পিছন থেকে এক ছাত্র হাত তুলেছে। অনুমতি পেলে প্রশ্ন করে বসে, ‘স্যার আই ডোন্ট নো হু ঈজ দা রিয়েল “মাগি” অব দিজ স্টোরি?’ টেরেন্স স্যারের মুখে মাগি শব্দ শুনে আমাদের সবার কি আনন্দ। আজ ফাদার পিশেতো, টেরেন্স পিনেরু বেঁচে নেই। তবু সবাই ফাদার পিশেতোর স্মৃতিচারণা করছে। টেরেন্স পিনেরু স্যারের নাম বলে ভয় দেখাচ্ছে। বোটানির মিজানুর রহমান ভুঁইয়া স্যারের ‘ন্যাচার স্টাডি ক্লাব’–এর সদস্য ছিলাম। একবার ক্লাব থেকে সোনারগাঁও যাই পাখি দেখতে। ভাই, আপনারা এখন পাখি বলতে যা বোঝেন, সেই পাখি নয়। আমরা সোনারগাঁয়ের আশেপাশের গ্রামে, জলাজঙ্গলে পাখি দেখতে, পাখি চিনতে গিয়েছিলাম। ভুঁইয়া স্যার ধরে ধরে আমাদের পাখি চিনাতেন। আজ থেকে সিকি শতক আগের কথা। অথচ সেই সময়ে উনারা কতটা আধুনিক ছিলেন। উনাদের মতো শিক্ষকদের সাহচর্য ছিল আমাদের জন্য বিশেষ আশির্বাদ।

সন্ধ্যা হয়ে এলো। অদ্ভুত রকম সুন্দর আলোকসজ্জায় সেজেছে প্রিয় ক্যাম্পাস। সেই মায়াময় পরিবেশটা সবাই ঘুরে ঘুরে দেখে নিচ্ছে। এর মধ্যে স্টেজে উঠেছে ব্যান্ডদল মাইলস। আমাদের ব্যাচমেটরা (নটরডেমিয়ান ৯৯) একপাশে জড়ো হয়েছে। সেখানে দেখা হয় ডা. আরমান, নেতা শিশির, স্মার্ট বয় নিয়াজ ও আসিফ, ব্যাংকার ওয়াসি ও রুমন,  রবির বাপ্পি, ওয়াসার হাবিব, কলামিস্ট ইয়াসিন, উদ্যোক্তা নজরুল ও লিমন, প্রবাসী তানভীর, ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান, ইমতিয়াজসহ কত কত বন্ধুদের সঙ্গে। স্টেজে গাওয়া ‘চাঁদ-তারা-সূর্য নও তুমি, নও পাহাড়ি ঝর্ণা......’–এর সঙ্গে নেচে–গেয়ে তাল মিলিয়ে যাচ্ছে বন্ধুরা। ‘ফিরিয়ে দাও, আমারই এ প্রেম তুমি ফিরিয়ে দাও...’ গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুলে উঠছে উপস্থিত হাজারও অ্যালামনি। এবারের হীরকজয়ন্তী উদ্‌যাপনের একটি বিষয় উল্লেখ করার মতো। অনুষ্ঠানের অধিকাংশই স্পন্সর করেছেন নটরডেমিয়ানরা। অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে ছিলেন নটরডেমিয়ান মন্ত্রী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যে খ্যাতিমান শিল্পীরা পারফর্ম করেছেন তারাও নটরডেমিয়ান। অনুষ্ঠানের অসিলায় সবার সঙ্গে দেখা হওয়ায় সবাই আপ্লুত। আবেগে ভেসে যাচ্ছে সবাই। অবশ্য এর যথেষ্ট কারণও আছে। আমরা সবাই বিশ্বাস করি, ‘ওয়ান্স আ নটরডেমিয়ান, অলওয়েজ আ নটরডেমিয়ায়ন’।

দেখতে দেখতে দিনটা ফুরিয়ে গেল। অনুষ্ঠানস্থল থেকে কলেজের মূল গেট থেকে বের হই। বাসায় ফেরার গাড়ির জন্য অপেক্ষা করি। স্টেজে তখনো মাইলস। একের পর এক গান গেয়ে যাচ্ছে। আমরা গাড়ি পেয়ে গেছি। সেখানে ওঠার সময়ও মনে হচ্ছে, আরও কিচ্ছুক্ষণ থেকে যাই। ঐ সময় স্টেজ থেকে ভেসে আসে ‘নষ্ট অতীত’ গানের সূর। আমাদের গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে। গানের সুর ক্ষীণ হয়ে আসছে। মনে পড়ছে, সব অতীত নষ্ট হয় না। কিছু অতীত হয় স্মৃতিগন্ধা। সেই অতীতের কথা মনে পড়লেই ভুরভুর করে মধুময় স্মৃতির সুবাস ছড়িয়ে পড়ে। অনায়াসে সেই স্মৃতিময় সুবাসের ভেতরে নিজের বর্তমানকে ডুবিয়ে রাখা যায়।

*লেখক: সাজিদ রহমান, এক্স-নটরডেমিয়ান; প্রকৌশলী