করোনা কালে লেখা বই নৃমাণ-এর মোড়ক উন্মোচন

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ড. রতন সিদ্দিকীর লেখা বই নৃমাণ-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছেছবি: প্রথম আলো

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ড. রতন সিদ্দিকীর লেখা বই নৃমাণ-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। বুধবার সকালে কারওয়ানবাজারের হাইটেক পার্কের এনআরবি জবসের মিলনায়তনে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বিশ্বসাহিত্য ভবন থেকে প্রকাশিত হয়েছে বইটি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্পী অশোক কর্মকার, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক পরিচালক শিল্পী জাহিদ মুস্তাফা, পশ্চিম বাংলার অন্যতম নাট্যকার ড. আশীষ গোস্বামী, অভিনয় শিল্পী আল মনসুর, বইটির লেখক ড. রতন সিদ্দিকী, স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এম ই চৌধুরী শামীম এবং স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপা।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক পরিচালক শিল্পী জাহিদ মুস্তাফা বলেন, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ড. রতন সিদ্দিকীর লেখা বই নৃমাণ বইটি করোনার সময়ে লেখা। এতে ছোট ছোট ১০টি গল্প রয়েছে। একবার পড়তে বসলে শেষ না করে উঠতে ইচ্ছা করে না। সহজ সরল ভাষায় তিনি বইটি লিখেছেন। করোনায় বসে না থেকে লেখক যে সাহিত্য রচনা করেছেন তাঁর সাহিত্য মূল অনন্য। বইয়ের লেখা সবার ভালো লাগবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

চিত্রশিল্পী অশোক কর্মকার বলেন, রতন সিদ্দিকীর সঙ্গে আশির দশক থেকে নানা কাজ করেছি। একসাথে আমরা অনেক শিল্প-সাহিত্য সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত। বইটি আমার দেখেই ভালো লেগেছে। পড়লে আরও বেশি ভালো লাগবে। যদিও এই একটি বই দিয়ে রতন সিদ্দিকীর পরিচয় শেষ হয় না। তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ আরও বড় বড় পুরস্কার পেয়েছেন।

স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এম ই চৌধুরী শামীম বলেন, আমাদের বন্ধু রতন সিদ্দিকী। অনেক ভালো ভালো কাজের সঙ্গে আমাদের যুক্ততা রয়েছে। এই বইয়ের আয়োজনে থাকতে পেরে অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি।

স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপা বলেন, বইটি আমাদের উৎসর্গ করা হয়েছে জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। লেখকের উদার মানসিকতার পরিচয় যে তিনি আমাদের এই বইটি উৎসর্গ করেছেন। এর সাহিত্যমূল্য অনন্য।

লেখক ড. রতন সিদ্দিকী বলেন, মহাকবি ও নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়রের সময়ও কিন্তু প্লেগ বা মহামারির সংক্রমণ হয়েছিল। সেই সময় তিনি তার সময়ের সদ্ব্যবহার করে লিখেছিলেন বিখ্যাত নাটক। আবার রবীন্দ্রনাথ তাঁর সময়ে ডেঙ্গুর আক্রমণের সময়েও সাহিত্য রচনা করেছিলেন। তাই বলা যায় মহামারি বা করোনার মতো সময় কেবল বসে থাকার জন্য নয়। এই সময়কেও কাজে লাগানো যায়। আমার লেখা নৃমান বইটি করোনার সময়ে লেখা। বইটি সবার ভালো লাগবে এই প্রত্যাশা। বন্ধু এম ই চৌধুরী শামীম এবং দিলারা আফরোজ খান রূপাকে বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে।