গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। আজ বুধবার ‘অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক সভায় এ পরামর্শ দেন বক্তারা।
রাজধানীর ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) ঢাকা ক্যাম্পাসে এই সভা হয়। যৌথভাবে এর আয়োজন করে কেয়ার বাংলাদেশ বাস্তবায়িত স্ট্রেনদেনিং হাউজহোল্ড অ্যাবিলিটি টু রেসপন্ড টু ডেভেলপমেন্ট অপরচুনিটিজ (সৌহার্দ্য) থ্রি প্লাস অ্যাকটিভিটি এবং আইইউবি। অনুষ্ঠানে বাণিজ্যিক ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক, উন্নয়ন সংগঠন, আইইউবির অনুষদ সদস্য, শিক্ষার্থী এবং কেয়ার বাংলাদেশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রমেশ সিং। তিনি বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে গবেষণা বৃদ্ধি করা খুবই জরুরি।
আইইউবির স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, দারিদ্র্যের চক্রকে ভাঙতে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি একটি প্রধান উপায়। তিনি অর্থনৈতিক পণ্যের রূপরেখা তৈরি করার সময় মানবকেন্দ্রিক উপায় অবলম্বন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করেন। যাতে কাঙ্ক্ষিত জনগোষ্ঠীর ঋণের বোঝা আরও ভারী না হয়ে যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক প্রজ্ঞা পারমিতা সাহা বলেন, অর্থনীতি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্যানেল আলোচনায় গ্রামীণ বাংলাদেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থা, ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা (এনজিও-এমএফআই), স্থানীয় মহাজন, বন্ধু ও পরিবারসহ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরা হয়। প্যানেল আলোচকেরা দরিদ্রদের আপৎকালীন এবং ক্ষুদ্রঋণের প্রয়োজনীয়তা পূরণে ভিলেজ সেভিংস অ্যান্ড লোন অ্যাসোসিয়েশনের (ভিএসএলএ) মতো স্বসংগঠিত সঞ্চয় এবং ঋণ দলের তাৎপর্য তুলে ধরেন।