১২–১৮ বছর বয়সীদের করোনার টিকা দিচ্ছে সিঙ্গাপুর
এশিয়ায় ব্যবসা, চিকিৎসা ও শিক্ষার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র সিঙ্গাপুর। সিঙ্গাপুর করোনা মহামারি বেশ ভালোভাবে সামাল দিচ্ছে। করোনার নতুন ধরনে অল্প বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে সিঙ্গাপুর স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা দিতে যাচ্ছে।
সিঙ্গাপুরে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে স্কুল বন্ধ রাখা। ভারতে শনাক্ত করোনার নতুন ধরনে অধিকসংখ্যক শিশুর সংক্রমিত হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
গত সোমবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং ঘোষণা দেন, ১২–১৮ বছর বয়সী স্কুলশিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির সর্বশেষ প্রবণতায় আমরা শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা বেশি দেখছি। স্কুলে ও টিউশন সেন্টারে শিশুরা সংক্রমিত হচ্ছে।’
সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিশুরা গুরুতর অসুস্থ হয়নি। কিন্তু এ নিয়ে মা–বাবারা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন। তাই আমরা স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে জুনের ছুটির সুবিধা নেব।’
সিঙ্গাপুরে চার লাখের বেশি স্কুলশিক্ষার্থী আছে। টিকা নেওয়ার জন্য তারা গত মঙ্গলবার থেকেই বুকিং দিতে পারছে। আজ বৃহস্পতিবার প্রথম টিকা দেওয়া হয়েছে। গত মে মাসে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা ১২–১৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এর আগে ১৬ থেকে বেশি বয়সীদের জন্য এই টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সিঙ্গাপুর প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের টিকাদান শেষ না করেই শিশুদের টিকা দিতে যাচ্ছে। স্কুলশিক্ষার্থীদের পর সিঙ্গাপুর শেষ ধাপে ৩৯ বছর বা তার নিচের বয়সী লোকজনকে টিকা দেবে।