হৃদয়ের নিভৃত অলিন্দে
তার ত্রিকোণী হৃদয়ের দহলিজে সন্তর্পণে,
গড়ে উঠেছিল যে নিভৃত অলিন্দ,
সেখানে কি এখনো আছে সেই ফুলকি?
কিংবা কদাচিৎ দৃশ্যমান কিছু আলোর ফিনকি—
অতীতে যেথা ঝরেছিল কিছু অর্ধদগ্ধ কণিকার অঙ্গার!
এখনো ধিকিধিকি সে আগুন কি দেয় হুংকার?
সেই স্ফুলিঙ্গ হতে আবেগের কণিকা আনে কি ঔষ্ম?
রূপান্তরিত হতে পারে কি অগ্নিদহনে?
তার অলিন্দ অস্তিত্বে কি এখনো হয় উদ্গত কৃষ্ণ ধূম?
পুনশ্চ হবে কি আবির্ভূত হৃদয়ের স্পন্দনে?
তখন আবার রচিবে কি কোনো কবিতা দীর্ঘ শ্বসনে—
সে বাষ্প ফেলবে কি কোনো প্রতীতি নির্মল দর্পণে?
যেথা আজ ভালোবাসায় সাজান হৃদয়ের নিকুঁজ!
পড়বে কি দুমড়ে আত্মবিশ্বাসের প্রস্তরে গড়া আবাস—
হেরি পরিত্যক্ত তার প্রেমবুননের নিবাস।
আরাধ্য গোপন কামনার অনতিক্রম্য কর্ষে—
যাবে কি ভেসে সে সঙ্গ লাভের দুর্দম অভিলাষে?
সুযোগ পেলেই কি দমকে উঠবে শিখা? দেবে জ্বালিয়ে!
আবার জ্বালিয়ে কি দেবে, সে আগুন দহলিজ পেরিয়ে—
সর্নভেদ করে হৃদয়ের অন্তস্থলে?
তাই আজ শপথ!
অর্ধদগ্ধ ভস্ম করবে সে চিরতরে সমাহিত,
আর সে অলিন্দ করবে উন্মুক্ত নভোতলে।
হয়তো তখন নিভবে সে শিখা,
সূর্যকিরণ আর জ্যোৎস্নাদ্রবণে হয়ে স্নাত।
*লেখক: জাকিয়া রহমান, ইমেরিটাস আধ্যাপক ও গবেষক, লিমেরিক বিশ্ববিদ্যালয়, লিমেরিক, আয়ারল্যান্ড।