‘হাসিনা: আ ডটার্স টেল’ দেখতে নাইজেরিয়ায় উপচে পড়া ভিড়

দূর পরবাস, নাইজেরিয়া, শেখ হাসিনা

নাইজেরিয়ার আবুজা আন্তর্জাতিক জুমা চলচ্চিত্র উৎসবে ৫ মে ‘হাসিনা: আ ডটার্স টেল’ দেখানো হয়। নাইজেরিয়ান ফিল্ম করপোরেশন এবং নাইজেরিয়া সরকারের ফেডারেল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের যৌথ আয়োজনের চলচ্চিত্র উৎসবে নাইজেরিয়ার আবুজায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন ডকু-ড্রামা প্রদর্শনীর আয়োজন করে। প্রদর্শনীতে কূটনীতিকেরা, বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী, নাইজেরিয়ার সুশীল সমাজ ও শিক্ষার্থী, নাইজেরিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ ২৫০–এর অধিক দর্শক উপস্থিত ছিলেন।

প্রদর্শনীর শুরুতে, নাইজেরিয়ায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. আনিসুর রহমান উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সম্পর্কে আলোকপাত করে তিনি বলেন, তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ওপর আলোকপাত করে হাইকমিশনের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) বিদোষ চন্দ্র বর্মন বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সংক্ষিপ্ত পরিসরে তুলে ধরেন। দুই দেশের সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সম্পর্কে আশাবাদ প্রকাশ করে তিনি বলেন যে, ডকুড্রামাটি প্রদর্শনীর মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের মধ্যে ভাববিনিময়ের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

নাইজেরিয়ার প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক স্টিভ এবোহ বলেন, বাংলাদেশ এবং নাইজেরিয়া বহু বছর থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। ‘হাসিনা: আ ডটার্স টেল’ প্রদর্শনী আগামী দিনে দুদেশের বিদ্যমান সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

সমাপনী বক্তব্যে নাইজেরিয়ান ফিল্ম করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাহী প্রধান এবং আবুজা আন্তর্জাতিক জুমা চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারম্যান চিডিয়া মাডুয়েকওয়ে বলেন, বাংলাদেশ এবং নাইজেরিয়া উভয়ই জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে চলেছে। দুই দেশ সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন উপায় অনুসন্ধানের লক্ষ্যেও কাজ করে চলেছে বলে তিনি জানান। তিনি আগামী প্রজন্মকে নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করার আহ্বান জানান। তিনি ডকুড্রামার সফল প্রদর্শনী কামনা করেন।

ডকুড্রামা প্রদর্শনীর পরে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে অনুভূতি বিনিময়কালে চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব, অভিনয়শিল্পী এবং সাধারণ দর্শকেরা ডকুড্রামাটি সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তাঁরা বলেন, ডকুড্রামাটির গল্প-কথন, শব্দ, এবং সংগীত ছিল অসাধারণ। গল্প ছুঁয়ে গেছে তাঁদের হৃদয়। মনের গহীনে রয়ে যাবে তার মর্ম।

চিডিয়া মাডুয়েকওয়ে বলেন, ডকুড্রামাটি ছিল মর্মস্পর্শী এবং টানটান উত্তেজনায় ভরপুর। সেটি ছিল সংগ্রাম, উৎসর্গ এবং সেবাব্রতের গল্প। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু তাঁর বাবার আদর্শ লালন করেননি, তিনি তাঁর বাবার আদর্শে ব্রতী হতে তাঁর ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আলোকিত করছেন। স্টিভ এবোহ বলেন, ডকুড্রামাটি ছিল আবেগ, চিত্র, শব্দ, প্রোডাকশন এবং ভালো গল্পের সমাহার। ডকুড্রামাটি বাংলাদেশের আত্মার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম রূপকে ধারণ এবং চিত্রায়িত করেছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। নাইজেরিয়ান অভিনয় শিল্পী এবং স্ক্রিপ্ট লেখক গ্লোরিয়া অপেয়াগিয়েমি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রাম তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছেন।