হতাশার বাফেলো পার্ক স্টেডিয়াম

বাফেলো পার্ক স্টেডিয়ামে প্রবাসী বাংলাদেশিরা
বাফেলো পার্ক স্টেডিয়ামে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

পুরো খেলা চলাকালে কোথাও বসিনি। সাইড লাইনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেলা দেখেছি সদলবলে। এতটা উত্তেজনা নিয়ে গ্যালারিতে বসার মতো পরিস্থিতি ছিল না। তবে এই উত্তেজনা পজিটিভ ছিল না। একের পর এক বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের ব্যর্থতার ধাক্কা সামলাতে পারছিলাম না। বসতেও পারছিলাম না। তারপরেও সব কষ্ট ছাপিয়ে স্লোগান উঠেছিল—জিতলেও বাংলাদেশ হারলেও বাংলাদেশ।

কয়েক হাজার মাইল দূরে থাকা একঝাঁক তরুণ প্রবাসী বাঙালির দেশপ্রেমের এক হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে উঠেছিল আমাদের হাতে থাকা ব্যানারের বাক্যটাতে। ‘Dear Bangladesh! You are not alone even 10000 km. away. We are here. Play like Tiger.'
মুহুর্মুহু চিৎকার ও উচ্ছ্বাস উৎকণ্ঠায় ভেসে যাওয়া যুবকদের পরিচয় তখন ছিল শুধু একটাই। এরা বাংলাদেশি। অন্য কোনো পরিচয় পাওয়া গেল না খেলা চলাকালে। খেলা শেষে জানা গেল গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের বিরাট অংশ নারায়ণগঞ্জ জেলার। এর মধ্যে আলীরটেক ইউনিয়নের কুড়েরপার গ্রামের সরকার বাড়ির ছেলেদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। হাজার হাজার মাইল দূরে একই গ্রামের কয়েক শ ছেলে স্টেডিয়ামে একসঙ্গে খেলা উপভোগ করাটা বিরল। সে কী আনন্দ! প্রতি বলে বলে সবার চোখে মুখে প্রবল উত্তেজনা।

লেখক
লেখক

এ ছাড়া আমার বন্ধুরা পুরোটা সময় ছিলাম একসঙ্গে। এদের মধ্যে ফেনীর সাখাওয়াত হোসেন বাধন, শাহিন বোখারি, রাসেল ও মুনশি, খুলনার মামুন কাজী ভাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলক বাবু, আমার বাল্যবন্ধু নারায়ণগঞ্জের রফিক, রুস্তম কাকা, দেলোয়ার ভাই, ছোট ভাই শফিকুল ও ভাগনে রিয়াদসহ আরও অনেক পরিচিত মুখ। একসঙ্গে ছিলাম কিন্তু হতাশায় পর্যবসিত হয়েছি ক্ষণে ক্ষণে। অবশেষে হতাশ হয়ে ফিরেছি। তারপরও কষ্ট চেপে রেখে আমাদের একটাই কথা একটাই স্লোগান ছিল—জিতলেও বাংলাদেশ হারলেও বাংলাদেশ।
আলামিন সরকার: ইস্টার্ন কেপ, দক্ষিণ আফ্রিকা।