হঠাৎ বিয়ে-২য় পর্ব
সকালের হালকা রোদটা জানালা দিয়ে বাপ্পীর চোখে পড়তেই ও ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকাল। দেখল ও একটা ড্রয়িংরুমের সোফায় শুয়ে আছে। রুমটি সুন্দর করে সাজানো। দেয়ালে এবং সিলিংয়ে অনেকগুলো রঙিন বেলুন ও রংবেরঙের জরির কাগজ ঝুলছে। দেয়ালে সুন্দর করে রঙিন কাগজে লেখা ‘শুভ জন্মদিন রিয়া।’ তারিখ লেখা গতকালের। তার মানে গতকাল ছিল রিয়ার জন্মদিন। বাপ্পী মনে মনে হাসল। ভাবল পাগল মেয়েটা নিজের জন্মদিনেই পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলল!
-এখন কেমন বোধ করছেন?
রুমে ঢুকেই প্রশ্ন করল ছেলেটি। রিয়ার সমবয়সী হবে। চেহারাতে যথেষ্ট মিল আছে। বাপ্পীর ধারণা, এটাই রিয়ার সেই যমজ ভাই। বাপ্পী শোয়া থেকে উঠে বসতে বসতে বলল,
-ভালো।
-সকালে কবরে ফুল দিতে গিয়ে দেখি আপনি কবরের ওপর শুয়ে আছেন। জ্ঞান নেই। তারপর বাবা আর আমি মিলে আপনাকে ঘরে নিয়ে এলাম।
একটু থেমেই ছেলেটি আবার শুরু করল,
-আমার নাম রবিন। আমি রিয়ার ভাই। আপনি আমাকে না চিনলেও আমি আপনাকে চিনি। অনেক দিন আগে একদিন রিয়া আমাকে টিএসসিতে নিয়ে গিয়ে আপনাকে দেখিয়েছিল। তা আপনি কীভাবে এ বাড়িতে এলেন? আমি যতটুকু জানি, রিয়া কখনো আপনার সঙ্গে কথা বলেনি। আপনার তো এ বাসার ঠিকানা জানার কথা না।
-জি, ঠিকই বলেছেন, রিয়া কখনো আমার সঙ্গে কথা বলেনি। তবে গতকাল আমাদের প্রথম কথা হয়েছে। আর গতকালই আমরা বিয়ে করেছি।
-বিয়ে করেছেন মানে! এসব কি উল্টাপাল্টা কথা বলছেন?
-আমি সত্যি বলছি। কেন, ও আপনাদের এখনো কিছু বলেনি?
এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই রবিন দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে গেল। একটু পর ঠিক তেমনই দ্রুতবেগে একজন বয়স্ক লোককে সঙ্গে নিয়ে ড্রয়িংরুমে ঢুকল।
-ইনি আমার বাবা। অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল। আপনি বিয়ের কথা কী জানি বলছিলেন? বাবার সামনে আবার বলুন দেখি।
রিয়ার বাবার দিকে তাকিয়ে বাপ্পী ভয় পেয়ে গেল। উনি সরাসরি বাপ্পীর চোখের দিকে তাকিয়ে আছেন। বাপ্পী আজ পর্যন্ত কোনো আর্মি অফিসারের মুখোমুখি হয়নি। জীবনে এই প্রথম। ও শুনেছে আর্মি অফিসাররা নাকি খুবই কড়া টাইপের মানুষ হয়। জেনারেল সাহেব শান্ত চোখে সরাসরি বাপ্পীর চোখের দিকে তাকিয়ে আছেন। জেনারেল সাহেবের চোখ দেখে বাপ্পীর মনে হলো, যেকোনো সময় উনি চোখ দিয়েই গুলি করে দেবেন। বাপ্পী ঢোক গিলে বলল,
-জি মানে, আমি দুঃখিত। আমি জানি আমরা ভুল করেছি। আসলে ও ছেলেমানুষি করে বলল, বিয়ে করবেন? আমিও মজা করতে করতে রাজি হয়ে গেলাম। তারপর কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করে ফেললাম। রিয়া বলল, আপনাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে। তাই গত রাতে আপনাদের গাড়িতে করেই এ বাড়িতে এলাম।
রবিন প্রশ্ন করল,
-আপনাদের গাড়ি মানে?
-আপনাদের সাদা রঙের একটা টয়োটা আছে না?
-জি, আছে?
-ওটাতে করেই এসেছি। ড্রাইভার কাদের ড্রাইভ করছিল।
-কাদের ড্রাইভ করে আপনাকে এনেছে! তারপর?
-এখানে আসার পর রিয়া বলল, আগে কবরের কাছে গিয়ে মাকে সালাম করতে। মাকে সালাম করার পর আমাকে বলল, এখানেই বসে থাকো। আমি বাসা থেকে সবাইকে পাঠাচ্ছি। ওরা এসে তোমাকে বরণ করে নেবে। এ কথা বলেই আমাকে ওখানে বসিয়ে রেখে সে আপনাদের ডাকতে গেল। কিন্তু আর ফিরে এল না।
এতক্ষণ জেনারেল সাহেব একটা কথাও বলেননি। এবার বাপ্পী থামতেই বললেন,
-আমি তোমার সাহস দেখে অবাক হচ্ছি। তুমি আমার সামনে আমার মেয়েকে নিয়ে মিথ্যা কথা বলছ?
-জি না, আমি মিথ্যা বলছি না। আমার কথা বিশ্বাস না হলে আপনি রিয়াকে ডাকুন।
-আমি তার প্রয়োজন বোধ করছি না।
-এটলিস্ট কাদেরকে ডাকুন।
-কাদের এক মাস আগে এখানে ছিল। এখন সে এখানে থাকে না। আর তুমি যে সাদা গাড়ির কথা বলছ, সেটা বেশ কিছুদিন থেকে নষ্ট হয়ে গ্যারেজে পড়ে আছে।
-স্যার, বিশ্বাস করেন, আমি মিথ্যা বলছি না। আমি কি পুরো ঘটনাটা আপনাকে বিস্তারিত বলতে পারি। আমার ধারণা, পুরোটা আপনি মন দিয়ে শুনলে অবশ্যই বিশ্বাস করবেন।
-ওকে, শুরু করো।
বাপ্পী শুরু থেকে আবার বলা শুরু করল। কিছুই বাদ দিল না। এমনকি বড়লোকের মেয়েকে বিয়ে করে ঘরজামাই থাকার কথাটাও বলল। বাপ্পীর বলা শেষ হতেই জেনারেল সাহেব উঠে দাঁড়ালেন। রবিনের দিকে তাকিয়ে বললেন,
-ওকে সাভার নিয়ে গিয়ে ঢাকার বাসে উঠিয়ে দিয়ে আসবে। রাস্তায় ঝামেলা করলে থানায় ফোন দিয়ে ওসিকে আমার কথা বলবে।
বাপ্পী মনে মনে ভাবল যেমন বাপ তেমন মেয়ে। দুজনেই দেখি পুলিশের ভয় দেখায়। বাপ্পী অনুরোধের সুরে বলল,
-সরি স্যার। আপনার রাগের কারণটা আমি বুঝতে পারছি। আমাদের আসলে এটা করা উচিত হয়নি। আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন।
-আমি তোমার সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে আর কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না।
এ কথা বলেই উনি রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।
বাপ্পী বোকার মতো দাঁড়িয়ে রইল। ও বুঝতে পারছে না ওর এখন কী করা উচিত। বাপ্পী রবিনের হাত ধরে বলল,
-রবিন সাহেব, বিশ্বাস করুন, আমি মিথ্যা বলছি না। আপনি রিয়াকে জিজ্ঞেস করুন।
-আমি জানি, আপনি মিথ্যা বলছেন না। আসুন, আমার সঙ্গে।
রবিন বাপ্পীকে পাশের একটা রুমে নিয়ে গেল। সুন্দর সাজানো-গোছানো একটা রুম। পুরোটা রুম যেন একটি নীল আকাশ। রুমের সিলিং, দেয়াল, বিছানার চাদর, বালিশ, জানালার পর্দা সবই নীল। আর সারাটা রুমের দেয়ালজুড়ে শুধু বাপ্পীর ছবি। সবগুলো ছবিতেই বাপ্পী চোখ বন্ধ করে ঘাসের ওপর শুয়ে আছে।
-এটি রিয়ার রুম। দেখুন পুরোটা রুমে শুধু আপনারই ছবি। ও প্রতিদিনই টিএসসিতে গিয়ে আপনার ছবি তুলত। আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না, ও আপনাকে কতটা ভালোবাসে।
-এখন বুঝতে পারছি। জানেন, গতকাল আমি আরও ভেবেছিলাম খেয়ালি একটা মেয়ে। পাগলামি করতে করতে আমাকে বিয়ে করছে। রবিন, ভাই যা হওয়ার তা তো হয়ে গেছে। এখন তো আর কিছু করার নেই। আপনি একটু আপনার বাবাকে বোঝান। আচ্ছা, রিয়া কোথায় ? আপনার বাবা কি ওকে আটকে রেখেছেন?
-বাবা আটকে রাখবে রিয়াকে! রিয়া হচ্ছে বাবার চোখের মণি, এ বাড়ির রাজকন্যা। ওর চাওয়ার বাইরে এ বাড়িতে কিছুই হয় না। ওর সিদ্ধান্ত এ বাড়ির শেষ কথা।
-তাহলে, আপনার বাবা কেন আমার কথা বিশ্বাস করছেন না। রিয়া কি তাহলে আপনাদের কিছুই বলেনি।
-না, কিছুই বলেনি।
-বুঝলাম না, ও কেন এমন করল? আচ্ছা, আমি কি ওর সঙ্গে একটু কথা বলতে পারি?
-কথা বলবেন? আসুন, আমার সঙ্গে।
বলেই রবিন হাঁটা শুরু করল। বাপ্পী পেছন থেকে রবিনকে অনুসরণ করল। গত রাতে রিয়া বাপ্পীকে যে দুটো কবরের সামনে নিয়ে গিয়েছিল, রবিনও বাপ্পীকে সেখানে নিয়ে গেল। কবরের পাশে দাঁড়িয়ে রবিন কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলল,
-ডান পাশে মা শুয়ে আছে, আর বাঁ পাশে রিয়া। বললেন না কথা বলবেন। নিন কথা বলুন।
-কী যা তা বলছেন? এটা কোন ধরনের রসিকতা?
-এটা রসিকতা হলে আমরাই বেশি খুশি হতাম। কিন্তু এটাই বাস্তবতা। রিয়া এক মাস আগে কার অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছে। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ছয় দিন যুদ্ধ করেছিল। কিন্তু জিততে পারেনি। গতকাল ছিল ওর জন্মদিন। ও সব সময় বলত, ওর জন্মদিনেই ও বিয়ে করবে। তাই আপনি যখন বললেন, গতকাল রিয়া আপনার সঙ্গে ছিল এবং আপনাকে বিয়ে করেছে, প্রথমে শুনে আমি চমকে গিয়েছিলাম। তবে আমি আপনার কথাটি বিশ্বাস করেছি। কীভাবে এ ঘটনা ঘটল, তার ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই। হয়তো ওর অতৃপ্ত আত্মা আপনার কাছে গিয়েছিল।
-রবিন সাহেব, কেন আপনি এমন আজব গল্প আমাকে বলছেন? এই আধুনিক যুগে এসে আপনি আমাকে এসব আত্মার গল্প বলবেন আর সেটা আমাকে বিশ্বাস করতে হবে? সরি, আমি আপনার এই গল্প বিশ্বাস করলাম না। আমি আপনাদের ড্রাইভার কাদেরের সঙ্গে কথা বলতে চাই।
-কাদেরের সঙ্গে কথা বলবেন, আসুন, আমার সঙ্গে।
রবিন বাপ্পীকে ওদের গ্যারেজে নিয়ে গেল। বাপ্পী দেখল, গ্যারেজের ভেতর একটা সাদা রঙের টয়োটা গাড়ি। তবে গাড়িটি অক্ষত নয়, দুমড়ানো–মোচড়ানো।
-আপনি নিশ্চয়ই এই সাদা গাড়ির কথা বলছিলেন? এই গাড়িতে করেই রিয়া সেদিন ঢাকা থেকে ফিরছিল। কাদেরই ড্রাইভ করছিল। কাদের ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ওকে ওদের গ্রামে কবর দেওয়া হয়েছে। আপনি চাইলে আমি আপনাকে কাদেরের বাড়ির ঠিকানাটা দিতে পারি। বাপ্পী ভাই, বিশ্বাস করেন রিয়া বেঁচে নেই।
বাপ্পী আর কোনো কথা বলল না। সে রবিনকে গ্যারেজের সামনে রেখেই বাড়ির বাইরে চলে এল। ওর মাথায় এখন কোনো কিছুই ঢুকছে না। ওর মনে হচ্ছে ও এখনো টিএসসিতে ঘুমিয়ে আছে। আর যা কিছু ঘটছে, সব স্বপ্নেই ঘটছে। বাপ্পী মনে মনে বলল, আমাকে এখন ঢাকা ফিরতে হবে। যেতে হবে টিএসসিতে। তারপর আমার শরীরটাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে এ দুঃস্বপ্ন থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
বাপ্পী এসব ভাবতে ভাবতেই একসময় ইট বিছানো রাস্তা পেরিয়ে বড় রাস্তায় উঠে এল। তারপর সাভার বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ঢাকাগামী একটা বাসে উঠে বসল। একটু পরেই বাসটি ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে। বাপ্পী চোখ বন্ধ করে মাথাটা বাসের সিটে এলিয়ে দিল।
একটু পর বাপ্পী অনুভব করল, কেউ একজন ওর পাশের সিটে এসে বসল। আর সঙ্গে সঙ্গেই একটা মিষ্টি ফুলের গন্ধ ওর নাকে এসে লাগল। বাপ্পী বুঝতে পারল রিয়া এসে ওর পাশে বসেছে। কারণ, গতকাল ঠিক এই গন্ধটাই ও রিয়ার পাশে বসে পেয়েছিল। বাপ্পী চোখ বন্ধ করেই বসে রইল। একটু পরেই বাপ্পী ওর কানে গরম নিশ্বাসের ছোঁয়া পেল। রিয়া বাপ্পীর কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে বলল,
-আমাকে না বলেই চলে যাচ্ছ? নতুন বউকে কেউ একা রেখে যায়?
বাপ্পী ধীরে ধীরে চোখ খুলল। দেখল, রিয়া ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। বিয়ের সাজে সেজেছে পাগলি মেয়েটি। রিয়ার পরনে নীল বেনারসি শাড়ি। গলায় ফুলের মালা। পরির মতো সুন্দর লাগছে রিয়াকে। বাপ্পী রিয়ার দিকে অপলক তাকিয়ে রইল।
-এভাবে তাকিয়ে কী দেখছ?
-তোমাকে দেখছি। তোমাকে পরির মতো সুন্দর লাগছে। আচ্ছা, তোমার ভাইটা এমন কেন? ও বলল, তুমি নাকি এক মাস আগে মারা গেছ। এই তুমি নাকি তুমি না। এটা নাকি তোমার আত্মা।
-আর তুমি সে জন্য আমাকে একা ফেলে চলে যাচ্ছিলে? আমি জীবিত না মৃত সেটাই তোমার কাছে বড় হলো। আমার ভালোবাসাটা কিছু না?
বাপ্পী দেখল, রিয়ার চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে। বাপ্পীর নিজেকে খুবই অপরাধী মনে হলো। ও মিষ্টি করে বলল,
-সরি রিয়া, আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি তোমাকে একা ফেলে আর কোথাও যাব না।
-সত্যি বলছ? তাহলে আমার কপালে একটা চুমু দাও।
বাপ্পী রিয়াকে ধরতে হাত বাড়াতেই রিয়া দ্রুত বসা থেকে উঠে দাঁড়াল। তারপর কপট রাগের ভঙ্গিতে বলল,
-এই তুমি কী করছ?
-তুমি না বললে চুমু দিতে?
-তাই বলে সবার সামনে! আগে বাসায় চলো, তারপর।
এ কথা বলেই লাজুক চাহনি দিয়ে রিয়া বাস থেকে নেমে গেল। বাপ্পীও মন্ত্রমুগ্ধের মতো রিয়ার পিছু পিছু বাস থেকে নেমে পড়ল।
-রিয়া আমি কি তোমার হাতটা ধরতে পারি?
-কেন?
-সাধারণত স্বামীরা নতুন বউয়ের হাত ধরেই হাঁটে। তাই বলছিলাম আরকি।
-তাই? শোনো, সবাই তো হাত ধরেই হাঁটে, আমরা না হয় হাত না ধরেই হাঁটলাম। কি রাগ করলে?
-আরে না, কেন রাগ করব? কোনো সমস্যা নেই। হাত ধরতে হবে না। তুমি আমার পাশে থাকলেই চলবে। চলো যাই।
বাপ্পী খেয়াল করল না, রিয়ার চোখ থেকে আবারও জল গড়িয়ে পড়ছে।
বি. দ্রষ্টব্য:
এই পৃথিবীতে এমন কিছু ঘটনা ঘটে, যার কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায় না। অবশ্য সব ঘটনার ব্যাখ্যা খোঁজার দরকারই–বা কি?
বি. দ্রষ্টব্যের বি.দ্রষ্টব্য:
বাপ্পী রিয়ার মতো জীবন আমরা চাই না। আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষের হাত ধরে হাঁটতে চাই।
নিরাপদ সড়ক চাই। এটা হতেই হবে। আমরা দ্রুত না, নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে চাই।
ইমদাদ বাবু, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র। [email protected]