স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ব্যাংককে চিত্রকলা প্রদর্শনী

চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনের দৃশ্য
চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনের দৃশ্য

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে চিত্রকলা প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এই চিত্রকলা প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের চারজন নারী চিত্রশিল্পী—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন আর্টস ফ্যাকাল্টির ড্রয়িং ও পেইন্টিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ফরিদা জামান, থিয়েটার কর্মী বিপাশা হায়াত, লায়লা শারমীন ও ফারজানা রিপার আঁকা চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। Conversations with Freedom শীর্ষক এই চিত্রকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস ও আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মাস—এই তিনটি আদর্শের সমন্বিত প্রতীক হিসেবে আয়োজন করা হয়।

চিত্র প্রদর্শনী দেখছেন অতিথিরা
চিত্র প্রদর্শনী দেখছেন অতিথিরা

ব্যাংককের এক হোটেলে ২৭ মার্চ সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন থাইল্যান্ডের ডিজিটাল ইকোনমি ও সোসাইটি মন্ত্রী ড. পিচেট ডুরাংকাভেরাজ। ভিন্নধর্মী এই চিত্রকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাই চিত্রকলামোদী, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিমসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতেরা উপস্থিতি ছিলেন।

প্রদর্শনী উদ্বোধনের পর পিচেট ডুরাংকাভেরাজ সংবাদকর্মীদের বলেন, বাংলাদেশের চিত্র ও শিল্পকলা অত্যন্ত উন্নতমানের। আমি এ প্রদর্শনীতে উপস্থিত হয়ে তা অবগত হলাম। আমরা আমাদের চিত্রকলা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে আরও চিত্রকলা প্রদর্শনী আয়োজনে উৎসাহিত করব। তিনি থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সহযোগিতা আরও সুদূরপ্রসারী করতে এ রকম চিত্র প্রদর্শনী আয়োজনে বাংলাদেশে দূতাবাসকে সাধুবাদ জানান।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দৃশ্য
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দৃশ্য

সাইদা মুনা তাসনিম থাই মন্ত্রী পিচেট ডুরাংকাভেরাজ, কূটনীতিক, থাই সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও চিত্রকলামোদীদের প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখান এবং চিত্রশিল্পীদের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি সংবাদকর্মীদের জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাস মার্চে দূতাবাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত নারীদের ক্ষমতায়ন ও স্বাধীনতা, এই দুটি আদর্শের সমন্বয়ে আয়োজন করা এই ভিন্নধর্মী প্রদর্শনীটিতে আমরা থাই জনগণের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছি।
প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের থিয়েটার ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগর উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ দূতাবাস গত বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের চিত্রশিল্পীদের অংশগ্রহণে Amity শীর্ষক Bangladesh-Thailand Friendship Art Camp & Art Exhibition-এর আয়োজন করেছিল। আট দিনব্যাপী (২২-৩০ মার্চ) ওই প্রদর্শনীতে থাইল্যান্ডের আটজন ও বাংলাদেশের আটজন চিত্রশিল্পীর চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দৃশ্য
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দৃশ্য

স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিন গত ২৬ মার্চ রোববার বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি পালন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিম তার বক্তব্যে স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী শহীদের আত্মত্যাগের কথাও তিনি এ সময় কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন এবং অগণিত নারীর সম্ভ্রমহানি ও নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ এবং অর্জনের ওপরও আলোকপাত করেন।
বিকেলে বাংলাদেশ থেকে আগত শিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে রামেন্দু মজুমদার, বিপাশা হায়াত ও চন্দনা মজুমদার প্রমুখ নানা পরিবেশনায় অংশ নেন। এ ছাড়া নন্দন কলা কেন্দ্রের শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন। বিজ্ঞপ্তি