স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে নিউইয়র্কে প্রবাসীদের মিলনমেলা

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরে প্রবাসীদের মিলনমেলা বসেছিল।
বসন্তের চমৎকার আবহাওয়ায় জ্যাকসন হাইটসে নিউইয়র্কের শতাধিক প্রবাসী সংগঠন ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়।
দেশি ঐতিহ্যের পোশাক পরে প্রবাসীরা যোগ দেন বর্ণিল শুভযাত্রায়। এদিন লাল-সবুজের সমাহারে নিউইয়র্কের মিশ্র বসতির এলাকাটি এক খণ্ড বাংলাদেশ হয়ে ওঠে।
গতকাল শনিবার ছুটির দিন থাকায় অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষ ও শিশুর সমাগম ঘটে। আলোচনা, গান, কবিতা, আড্ডায় দূর দেশ থেকে প্রবাসীরা স্বদেশের সঙ্গে একাত্ম হন।
ডাইভারসিটি প্লাজায় নির্মিত হয়েছিল অস্থায়ী শহীদ মিনার। লাল-সবুজে ঢাকা বিশাল মঞ্চে দিনভর চলে দেশাত্মবোধক অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে শতাধিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামিম আহসান, নিউইয়র্ক নগরের কম্পট্রলার স্কট স্ট্রিঙ্গার, পাবলিক অ্যাডভোকেট লেটিসিয়া জ্যাম্প, অভিবাসনবিষয়ক কমিশনার নিশা আগরওয়াল, স্টেট সিনেটর হোজে পেরাল্টা, কাউন্সিলর ড. নুরুন্নবী, এন ওয়াই পি ডি কর্মকর্তা ব্রায়ান হেনেসি প্রমুখ।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের এই সমন্বিত আয়োজনের ব্যবস্থাপনায় ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মঞ্চ ও মুক্তধারা ফাউন্ডেশন।
মুক্তিযুদ্ধের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে ভিড় ছিল দিনভর। প্রবাসীদের পাশাপাশি ভিনদেশিরাও ওই আলোকচিত্র দেখেন।

জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মিশনে নিযুক্ত স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে। কিন্তু কিছু অপশক্তি দেশের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। এসব অপশক্তি মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।