বঙ্গবন্ধু সেই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ, যিনি বাঙালি জাতিকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছেন। মুক্তির সংগ্রামে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং সুদীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। বঙ্গবন্ধুই বাঙালি জাতিকে প্রকৃত স্বাধীন সত্তা উপহার দিয়েছেন। আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সৃষ্টি ও কীর্তি।
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী এ মন্তব্য করেন। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত পছন্দ করতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রয়াস নতুন প্রজন্মই এগিয়ে নেবে। বঙ্গবন্ধুর জীবনী আগামী প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
যথাযোগ্য মর্যাদা ও আড়ম্বরের সঙ্গে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ১৭ মার্চ রোববার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০১৯ উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাসে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপর দিবসের তাৎপর্যের ওপর এক আলোচনা সভায় দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ইয়াঙ্গুনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন। সভায় দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। আলোচনায় ইয়াঙ্গুনপ্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। তাঁরা বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
দ্বিতীয় পর্বে প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু–কিশোরেরা চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। জাতির পিতা সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের শিশু–কিশোরদের অধিকতর অবহিত করার জন্য দূতাবাসের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিশু–কিশোরদের জন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর দুটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর প্রদর্শিত তথ্যচিত্র থেকে শিশু–কিশোরদের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়। অনুষ্ঠানের এ পর্বে শিশু–কিশোরের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়।
তৃতীয় পর্বে ইয়াঙ্গুনপ্রবাসী বাংলাদেশি শিশু–কিশোরদের পরিবেশনায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এ পর্বের একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থ থেকে কিছু অংশ পাঠ করে শোনানো হয়। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সবার হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাষ্ট্রদূত। বিজ্ঞপ্তি