সিডনির ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলে পিঠা উৎসব
পিঠা আমাদের খাদ্য তালিকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় অনুষঙ্গ। অনাদিকাল থেকে এ খাদ্যাভ্যাস আমাদের সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সঙ্গে মিশে গিয়েছে গভীর আবেগে। এই প্রবাসে পিঠার স্বাদবঞ্চিত বাঙালির রসনা তৃপ্ত করতে এবং আগামী প্রজন্মকেও আমাদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের অংশীদার করতে বিগত দুই দশকের ধারাবাহিকতায় এবারও আয়োজন করতে যাচ্ছে শীতের পিঠা উৎসব।
ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, করোনা মহামারি পাড়ি দিয়ে মুখোমুখি ক্লাস শুরুর পর আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম চালু হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের পর এবারের পিঠা উৎসবের আয়োজন চলছে পুরোদমে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্কুল ক্যাম্পাসে এ মেলার আয়োজন করা হতো। কিন্তু সেই বছর হাজারের অধিক লোক সমাগম হয়। তাই ২০১৯ সাল থেকে পিঠা উৎসবের জন্য আলাদা ভেন্যু নির্বাচন করে আয়োজন করা হয়।
ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল তার দীর্ঘ ২০ বছরের অধিক সময়ের পথচলায় নিয়মিতভাবেই পিঠা উৎসব আয়োজন করে থাকে। পিঠা উৎসব থেকে অর্জিত সব অর্থই স্কুলের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে লাগানো। পিঠা উৎসবই স্কুলটির একমাত্র ফান্ড রেইজিং ইভেন্ট।
ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলই প্রথম সিডনির বুকে পিঠা উৎসব আয়োজন করে। তাই সবাই বাংলা স্কুলের পিঠা উৎসবের জন্য অপেক্ষা করেন। কারণ, এখানে সুস্বাদু পিঠা খাওয়ার পাশাপাশি চলে প্রবাসে জন্ম নেওয়া এবং বেড়ে উঠা দ্বিতীয় প্রজন্মের কোমলমতি শিশুদের নানারকম পরিবেশনা। বাচ্চাদের সঙ্গে আরও যোগ দেন স্থানীয় প্রথিতযশা শিল্পীরা। এই উৎসবে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য–সংখ্যক বিদেশিরাও যোগ দেন। এ কারণে পিঠা উৎসব পরিণত হয় একটা সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের মেলায়।
এবারের পিঠা উৎসবকে সামনে রেখেও বিভিন্ন রকমের প্রস্তুতি চলছে। অন্যবারের মতো এবারও সুস্বাদু পিঠার পাশাপাশি সব রকমের পরিবেশনা থাকবে।
উপরন্তু আলাদা স্টলে রাখা হবে স্কুলের বিভিন্ন তথ্য, বর্ষপঞ্জিকা এবং ভর্তির ফরম। তাই যে কেউ চাইলেই তাঁর সোনামণিদের জন্য ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন। করোনা মহামারির পর মানুষ আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। তাই এবারের পিঠা উৎসব নিয়ে অনেক আশাবাদী ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল।
আগামী ১৯ জুন সিডনির ইঙ্গেলবার্নের গ্রেগ পার্সিভাল কমিউনিটি হলে দিনব্যাপী বাহারি আয়োজনের পিঠার সমাহারে বর্ণিল হবে পিঠা উৎসব। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে এই মেলা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।