সিডনিতে বাংলাদেশফেরত যাত্রীদের মধ্যে করোনা শনাক্ত
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশফেরত যাত্রীদের মধ্যেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে টিকা গ্রহণ করেছেন—এমন মানুষও রয়েছেন বেশ কয়েকজন। তবে এ শুধু বাংলাদেশফেরত যাত্রীদের বেলায়, এমন নয়; ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, পাকিস্তান—এমন রাষ্ট্রের নামও ওঠে এসেছে দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক রিপোর্টে। আর এ নিয়ে ফলাও করে খবর প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়াসহ অনেক বিদেশি গণমাধ্যম।
বিদেশফেরত আক্রান্ত ব্যক্তিরা বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টিন করছিলেন সিডনিসহ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন করোনাভাইরাসের দুই ডোজের সম্পূর্ণ টিকা গ্রহণ শেষ করে এসেছিলেন। অন্যদের অনেকের এক ডোজ নেওয়া ছিল। তাঁরা ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসন ও মডার্নার টিকা গ্রহণ করেছিলেন। তবে সিডনিতে বেশ অনেক দিন ধরে স্থানীয় পর্যায়ে নতুন কোনো সংক্রমণ না থাকায় কোনো নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই সব কার্যক্রম চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় পর্যায়ে কয়েকজন সংক্রমিত হওয়ায় বর্তমানে কিছু সাধারণ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে ১৭ মে মধ্যরাত পর্যন্ত।
এদিকে সিডনিতে বিদেশফেরত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশি করোনাভাইরাসের ভেরিয়েন্ট শীর্ষ তিনে রয়েছে। গত মাসের এক পরিসংখ্যান বলছে, নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বাংলাদেশি ভেরিয়েন্ট রয়েছে। এই ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১১, ভারতের ভেরিয়েন্টে ৯ জন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভেরিয়েন্টে ৭ জন শনাক্ত হয়েছিল। সর্বশেষ তথ্যমতে, সিডনির হোটেল কোয়ারেন্টিনে আক্রান্তের দিক থেকে বাংলাদেশি ভেরিয়েন্ট পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। শীর্ষে রয়েছে লেবানন, ভারত, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের পর পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার করোনাভাইরাসের ভেরিয়েন্ট রয়েছে।
অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ায় সংক্রমণ রোধে ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ পদ্ধতি চালু করতে চান দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। বিদেশ থেকে ফেরার আগে টিকা গ্রহণ এবং সম্ভব হলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থেকে তবে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।