সিডনিতে এক দিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়ার সার্বিক অবস্থান
ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিসহ নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে দ্রুত বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে ১ হাজার ২১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এটি রাজ্যটির এক দিনে আক্রান্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড। একই সময়ে ছয়জনের মৃত্যুও হয়েছে। করোনায় সংক্রমণের দ্রুত ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে রাজ্যটিতে চলমান লকডাউন আরও কঠোর করা হয়েছে। নতুন নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে লকডাউন চলবে পুরো সেপ্টেম্বর মাসেই। এ ছাড়া, রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ রয়েছে সিডনির নির্দিষ্ট কিছু সিটি কাউন্সিলের শহরতলিতে।

দেশটির প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে নতুন করে কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর শোনা যায়নি। সার্বিকভাবে বাংলাদেশিরা ভালো আছেন।

এর মধ্যে সিডনির একটি জেলখানায় আকস্মিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে ২৪ ঘণ্টায় ৩১ কারাবন্দীর আক্রান্তের খবর এলে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় বন্দীদের স্বজনদের মধ্যে। তবে পরে আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ নয়, ১২ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, প্রতিবন্ধী শিশুদের টিকার আবেদন বাতিল করে দেওয়ার বেশ কয়েকটি অভিযোগ সামনে এসেছে। সিডনির বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে একাধিক মা–বাবা, যাঁদের সন্তান প্রতিবন্ধী, তাঁরা জানিয়েছেন, টিকা দেওয়ার সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও টিকাকেন্দ্র থেকে তাঁদের টিকা দেওয়া হয়নি। তবে কেন প্রতিবন্ধী শিশুদের টিকা প্রদান বাতিল করা হলো, এর কোনো স্পষ্ট কারণ জানানো হয়নি টিকাকেন্দ্র থেকে।

সিডনিসহ নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে কঠোর লকডাউন জারি রয়েছে। অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর এবং নিজ কাউন্সিলের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ।

করোনা শনাক্ত
প্রতীকী ছবি

অন্যদিকে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে নতুন করে কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর শোনা যায়নি। তবে এবারের করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ে বাংলাদেশিরা আক্রান্ত হয়েছেন বেশি। এই কয়েক দিনে সিডনিতে করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন দুইজন। এ ছাড়া সংক্রমিত অবস্থায় আছেন আরও কয়েকজন। তা ছাড়া, দেশটির অন্যান্য রাজ্যেও সংক্রমণের কিছু বিচ্ছিন্ন খবরও পাওয়া গেছে। তবে সার্বিকভাবে এখানে বাংলাদেশিরা ভালো আছেন।